ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন শুনে অবাক মির্জা ফখরুল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৩
প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন শুনে অবাক মির্জা ফখরুল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

ঢাকা: ‘নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠছে কেন’- সংসদে প্রধানমন্ত্রীর তোলা এমন প্রশ্ন শুনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর এমন কথা শুনে অবাক হয়ে গেছি। মানুষ জানে বাংলাদেশে ভোট হয় না, তারা ভোট দিতে পারে না।

শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।  বৃহস্পতিবার রাতে সংসদের ২৪তম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ওই প্রশ্ন রেখেছিলেন।  

ফখরুল বলেন, দুটি নির্বাচন তাদের (আওয়ামী লীগ) অধীনে হয়েছে। একটি ২০১৪ সালে, আরেকটি ২০১৮ সালে। ২০১৪ সালে ১৫৪ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছিল। আর কোনো রাজনৈতিক দল সেই নির্বাচনে অংশ নেয়নি।  

তিনি বলেন, নির্বাচনের মূল বিষয় হলো- ভোটাররা ভোট দেবেন। ভোটে জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটবে। আমাদের সংবিধান অনুযায়ী সেই মতামতের ভিত্তিতে পার্লামেন্ট গঠন হবে। সেই পার্লামেন্ট দেশ চালাবে। ২০১৮ সালে কী দেখাল তারা? আগের রাতে ভোট করল।  

তিনি আরও বলেন, শিডিউল ঘোষণার কয়েকদিন পর থেকে সরকার বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে। এমনকি ২৯ প্রার্থীকেও গ্রেপ্তার করে। তারা নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) কাজে লাগায়। এমনকি বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করে সেই ফল তাদের পক্ষে নিয়ে যায়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখনো নির্বাচন সংক্রান্ত ৫০টি মামলা হাইকোর্টে আছে। সেগুলোর বিচার এখন পর্যন্ত হয়নি। তাহলে গোটা ব্যবস্থাটা কী? এটি হলো- একটি দলকে নির্বাচিত করা। একটি দলের জন্য সুব্যবস্থা করা, যাতে তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে। এমন একটি প্রেক্ষাপটে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন আসছে।  

নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি, এই নির্বাচনে তখনই যাওয়া সম্ভব হবে, যখন একটি নিরপেক্ষ সরকার থাকবে। কারণ, আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, বাংলাদেশের রাজনৈতিক যে সংস্কৃতি, তাতে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়। বিশেষ করে, আওয়ামী লীগ যদি ক্ষমতায় থাকে, তাহলে সেই নির্বাচন কখনই সুষ্ঠু হতে পারে না।

তিনি বলেন, আমরা রাজনৈতিক দলগুলো একত্রিত হয়ে এক দফা দিয়েছি। এতে পরিষ্কার করে বলা হয়েছে, নির্বাচনের আগেই এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা দিতে হবে। সংসদকে বিলুপ্ত করতে হবে এবং নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচন করতে হবে।  

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের মানুষের যে আশা-আকাঙ্ক্ষা, তা পূরণ করার জন্যই এখানে একটি নিরপেক্ষ অংশগ্রহণমূলক গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দরকার। এটি শুধু আমরা নই, সমগ্র বিশ্ব বলছে। তাই তিনি (প্রধানমন্ত্রী) যখন বলেন, এত ভালো নির্বাচন করছেন। সেখানে আজ প্রশ্ন ওঠে কেন? 

আওয়ামী লীগকে পুনরায় নির্বাচিত করে ক্ষমতায় আনার আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য দেওয়া জামালপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. ইমরান আহমেদের প্রত্যাহারের বিষয়টিকে মির্জা ফখরুল বলছেন আইওয়াশ।  

অবিলম্বে মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের সম্পাাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিনের মামলা প্রত্যাহারসহ তাদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।  

 

তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের ৫৭ ধারার মামলায় গত বৃহস্পতিবার তাদের পৃথকভাবে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৩
টিএ/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।