গোপালগঞ্জ থেকে: বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় রোডমার্চ গোপালগঞ্জে আসার আগে পথসভাস্থলে অপেক্ষমান নেতাকর্মীদের ওপর ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা হামলা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে হামলার বিষয়ে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা কোনো বক্তব্য দেননি।
রোডমার্চের বহর পথসভাস্থলে এসে পৌঁছালে বিএনপির নেতাকর্মীরা জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে হামলার বিষয়ে অবগত করেন।
পথসভায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এখানে (গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের বরইতলা) হামলা হয়েছে। এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। বাংলাদেশের জনগণ আজকে যে জায়গায় আছে, তাতে হামলা করে তার অধিকার কেড়ে নেবার সুযোগ নেই। জনগণ তাদের অধিকার ফিরিয়ে নিয়ে এবং এদেশের মালিকানা বুঝে নিয়ে তারপর বাড়ি যাবে।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের বরইতলায় বিএনপির ফরিদুপুর বিভাগীয় রোডমার্থের পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আমীর খসরু।
তিনি বলেন, প্রিয় গোপালগঞ্জবাসী কেমন আছেন? ভোট দিতে পেরেছেন? ভোট কোথায় গেল? আগামী দিনে আর কোনো নির্বাচন করতে পারবেন না, ভোটও দিতে পারবেন না। কারণ তারা দল হিসেবে দেউলিয়া হয়ে গেছে! তাদের আর নির্বাচন দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। যতদিন তারা ভোট চুরি করে ক্ষমতায় থাকতে পারবে ততদিন তারা ক্ষমতায় আছে।
আমীর খসরু আরও বলেন, জনগণ এখন তার রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য রাস্তায় নেমে গেছে। ভোট চুরির দিন শেষ, জনগণের বাংলাদেশ। ভোট চুরির দিন শেষ, খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। আর সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। কারণ আওয়ামী লীগ এখন আর কোনো রাজনৈতিক দল না। তারা নেতাকর্মীদের শুধু ভোট চুরি শিখিয়েছে, দখলদারি শিখিয়েছে, ধান্দাবাজি শিখিয়েছে।
বাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যেভাবে জেগে উঠেছে, তাতে বিশ্ববাসী তাদের সঙ্গে আছে। সমগ্র বিশ্বের মানুষ বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগের সংগ্রামে সহায়তা করবে। যতক্ষণ ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত না হবে ততক্ষণ আপনারা রাস্তায় থাকবেন, আমরাও রাস্তায় থাকব। তারপরে নির্বাচিত সরকার হবে, যারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে।
এ পথসভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য জয়নুল আবেদীন ফারুক। সঞ্চালনা করেন রাজবাড়ী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড কামরুল আলম। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য জহুরুল হক শাহাজাদা মিয়া, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ প্রমুখ।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া ১৫ দিনের এ কর্মসূচি ৫ অক্টোবর কুমিল্লা-ফেনী-মিরসরাই হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত রোডমার্চের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। চট্টগ্রামে রোডমার্চ শেষে সমাবেশ থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০২৩
ইএসএস/এমজেএফ