হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জে পুলিশ অ্যাসল্টসহ পৃথক দু’টি মামলায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ১৪ নেতাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রোববার (৮ অক্টোবর) দুপুরে হবিগঞ্জের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হারুনুর রশিদ এ আদেশ দেন।
আদালতের পেশকার মো. আব্দুল হামিদ বাংলানিউজকে জানান, বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। এর মধ্যে ১৪ জনকে কারাগারে পাঠানো হয় এবং বাকিদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন বিচারক।
কারাগারে যাওয়া নেতারা হলেন জেলা বিএনপির সদস্য মহিবুল ইসলাম শাহীন, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব ও পৌরসভার কাউন্সিলর সফিকুর রহমান সিতু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব এমদাদুল হক ইমরান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহ রাজীব আহমেদ রিংগন, জেলা যুবদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জহিরুল ইসলাম সেলিম, সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর টিপু আহমেদ, জেলা ছাত্রদল নেতা হাফিজুল ইসলাম হাফিজ, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মাহবুব, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক মুর্শেদ আলম সাজন, বিএনপি নেতা মাহবুবুল হক হেলাল, কুমেদ আলী, মাধবপুর উপজেলা বিএনপি নেতা চৌধুরী ফজলে ইমাম সুমন, মনির উদ্দিন পাঠান, জসিম সিকদার ও মহিব উল্লা।
জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গত ১৯ আগস্ট বিকেলে হবিগঞ্জ শহরে পদযাত্রা করে বিএনপি। এসময় নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষ চলাকালে প্রধান সড়কের একদিক থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। এসময় অন্যদিক থেকে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। এ সংঘর্ষে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেবসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য এবং বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।
সংঘর্ষের ঘটনায় প্রায় ২০০ জনের নাম উল্লেখসহ সহস্রাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে পুলিশ অ্যাসল্ট ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়।
পরে ২০ আগস্ট বিএনপি ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হলে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০২৩
এসআই