ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা দিলে চীনকে পাশে পাওয়ার প্রত্যাশা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০২৩
আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা দিলে চীনকে পাশে পাওয়ার প্রত্যাশা

ঢাকা: বাংলাদেশের রাজনীতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞাসহ নানা বিষয়ে যখন আলাপ তুঙ্গে তখন চীনকে পাশে চাইলেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের জোটসঙ্গী দিলীপ বড়ুয়া।  

বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া বলেন, বাংলাদেশে যদি আমেরিকা অর্থনৈতিক স্যাংশন দেয় তার বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করবো।

অপশক্তির বংশধরেরা আমাদের রুখতে পারবে না। চীন আমাদের পাশে দাঁড়াবে। আমরা মনে করি, তারা (চীন) কখনও হস্তক্ষেপ করতে চায় না৷ এটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

এ সময় চীনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অব্যাহতভাবে চলবে বলে মন্তব্য করেছেন দিলীপ বড়ুয়া।  

রোববার (৮ অক্টোবর) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে গণচীনের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ চায়না সিল্ক রোড ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করে চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়া ওয়েন বলেছেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কেবল এ দেশের জনগণই নির্ধারণ করবে। চায়না চায় সার্বভৌমত্ব, ভৌগোলিক অখণ্ডতা এবং অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলো বাংলাদেশই দেখুক। যাতে করে বাংলাদেশ স্থিতিশীলতা রক্ষা এবং উন্নয়ন করতে পারে।

চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, আমার পূর্ণ আস্থা আছে, বাংলাদেশ ভবিষ্যতে ভালো করবে এবং চায়না-বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও উন্নত হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, চীন ও বাংলাদেশের অবিচল পারস্পরিক আস্থা নিয়ে আমরা সবসময়ই সন্তুষ্ট। চীন ও বাংলাদেশ সম্পর্ক ২০১৬ সালে সহযোগিতার কৌশলগত অংশিদারিত্বে উন্নীত হয় এবং ২০১৯ সালে গভীরতা পায়। চীন ও বাংলাদেশ মূল স্বার্থ ও উদ্যোগের বিষয়ে একে অপরকে সমর্থন করে।  

কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি শাহ আলম বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্যাংশন দেওয়ার বিষয়ে আমরা দ্বিচারিতা দেখতে পাই। ইসরাইলের ইস্যুতে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের স্যাংশন দেখি না। অথচ বাংলাদেশের বিষয়ে তারা স্যাংশন দিচ্ছে।

তিনি বলেন, অর্থনীতি হলো রাজনীতির মূল। অর্থনীতি আজ এমন প্রভাব ফেলেছে যা রাজনীতিটাকে আঘাত করছে।  

চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ আহমেদ বলেন, উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে চীন খুবই গুরুত্বপূর্ণ দেশ। অবকাঠামো উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ দেশটি। পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নে তারা আমাদের বেশ সহযোগিতা করেছে। বাংলাদেশ চীন সম্পর্ক সবার কাছেই জানা।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, চীনের নেতৃত্বাধীন সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনে ভারত ও পাকিস্তান পূর্ণ মেম্বার। আর মালদ্বীপ, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা কিন্তু বাংলাদেশ এটির সঙ্গে নেই। বাংলাদেশ যোগ দিলে এন্টি টেররিজমসহ অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০২৩  
এনবি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।