ঢাকা, রবিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

স্বৈরতন্ত্র পোক্ত করতে আনসারকে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে: ১২ দলীয় জোট

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২৩
স্বৈরতন্ত্র পোক্ত করতে আনসারকে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে: ১২ দলীয় জোট

ঢাকা: আনসারকে পুলিশের মতো গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা দেওয়া হবে। পুলিশের মতো আনসারও যাকে খুশি গ্রেপ্তার করতে পারবে।

এমন বিধান রেখে ‘আনসার ব্যাটালিয়ন বিল, ২০২৩’ জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তার জন্য আনসার বাহিনী তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু এই বিল পাস হলে পুলিশ যা করে, আনসার বাহিনীও তাই করতে পারবে ফলে দেশে স্বৈরতন্ত্র পাকাপোক্ত করতে আওয়ামী সরকারের দমন-পীড়ন ক্ষমতা দ্বিগুণ বেড়ে যাবে। সেইসঙ্গে অবৈধ শেখ হাসিনা সরকার বাংলাদেশকে উত্তর কোরিয়া বানানোর পথে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।

বুধবার (২৫ অক্টোবর) ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে অসদুদ্দেশ্যে প্রণীত এই আনসার ব্যাটালিয়ন বিলটি প্রত্যাহার করে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।  

নেতারা মনে করেন, পুলিশের মতো অপরাধ তদন্ত করার ক্ষমতা পেলে আনসার বাহিনীও ফৌজদারি মামলা তদন্ত করার ক্ষমতা পাবে যা বর্তমানে শুধুমাত্র পুলিশের এখতিয়ারভুক্ত বিষয়। তদন্ত করার জন্য পুলিশের মতো আরেকটি সমান্তরাল বাহিনী গঠন করা হলে তা পুলিশ বাহিনীর কাছেও অগ্রহণযোগ্য বিবেচিত হবে। এই বিলটি বাস্তবায়ন করা মোটেই উচিত হবে না। এটি হবে বিরোধী দল দমনে এবং গণতন্ত্রকে কবরস্থানে পাঠানোর আরেকটি পদক্ষেপ।

তারা বলেন, এই আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৭২ সালে রাজনৈতিক দলের কার্যক্রমে বাধাদান করা এবং নিষ্ঠুরভাবে দমন-পীড়নের উদ্দেশ্যে রক্ষী বাহিনী নামে একটি আধা সামরিক বাহিনী গঠন করেছিল। রক্ষী বাহিনী হাজার হাজার বিরোধী দলীয় নেতা কর্মীকে আটক নির্যাতন ও গুম খুনের মতো ঘটনা ঘটিয়েছিল।  

সরকারকে স্বাধীনতার চেতনা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সম্মান করে আনসার বাহিনীকে আরেকটি পুলিশ বাহিনী বানানোর কার্যক্রম থেকে সরে আসার আহ্বান জানান তারা। আনসার বাহিনীকে পুলিশের মতো ক্ষমতা দিলে তা গণতন্ত্র, বিরোধী দল এবং জনগণকে দমন-পীড়ন করার আরেকটি নতুন ব্যবস্থা হিসেবে বিবেচিত হবে বলেও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।  

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন, সাবেক মন্ত্রী ১২দলীয় জোট প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার, জোটের মুখপাত্র, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল অব. সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ১২দলীয় জোটের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বি এম এল) চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম, 

বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, ইসলামিক ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রকিব ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম ও বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টির সভাপতি ড. সৈয়দ জাভেদ মোহাম্মদ সালেহউদ্দিন।

বাংলাদেশ সময়: ১১১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২৩
টিএ/এসআইএস  
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।