ঢাকা: জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ বলেছেন, অতীতের তুলনায় দশম ও একাদশ সংসদ অনেক বেশি কার্যকর ছিল।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদে শেষ অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
রওশন এরশাদ বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা পরিবর্তন হতে হবে৷ সে নির্বাচন হতে হবে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সবাইকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানালে ভালো হবে।
তিনি বলেন, দশম জাতীয় সংসদ ও একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিরোধী দল ছিল জাতীয় পার্টি। অতীতের যেকোনো সংসদের তুলনায় দশম ও একাদশ সংসদ অনেক বেশি কার্যকর ছিল। বিরোধীদল সংসদে শুধু সরকারের বিরোধিতা করেনি, সরকারের ভালো কাজের প্রশংসা এবং মন্দ কাজের সমালোচনাও করেছে।
বিরোধী দলের নেতা বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে সংসদ সব রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু। সংসদকে প্রাণবন্ত, অংশগ্রহণমূলক ও কার্যকর করতে জাতীয় পার্টি সবসময় আন্তরিক এবং দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যগণ প্রতিটি অধিবেশনে যোগদান, আইন প্রণয়ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ, গঠনমূলক সমালোচনাসহ বিভিন্ন আলোচনায় অংশগ্রহণ করেছে।
রওশন এরশাদ বলেন, ভূ-রাজনীতির খেলায় নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করতে বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য সচেষ্ট রয়েছে বিশ্বের দেশগুলো। ইস্যুগুলো এতটাই স্পর্শকাতর যে, দেশের স্বার্থ রক্ষায় জাতীয় ঐকমত্য না থাকলে একটা বিপজ্জনক অবস্থায় পড়ার আশঙ্কা থাকে। আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের এটা নিয়ে ভাবতে হবে। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে জাতীয় ঐকমত্য না থাকলে একেক রাজনৈতিক দল একেক রাষ্ট্রকে সমর্থন করবে। এটা আমাদের সবার জন্য বিপদ ডেকে আনবে।
তিনি বলেন, ভূ-রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার নিয়ে বিশ্বব্যাপী ঠান্ডা লড়াই চলছে। প্রতিযোগিতার এই ধারাটা তীব্র গতিসম্পন্ন। আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনৈতিক খেলায় খেলতে যাওয়ার সক্ষমতা আমাদের নেই। এই বড় খেলাতে অংশ না নেওয়াই আমাদের জন্য বুদ্ধিমানের কাজ হবে। তা না হলে আমাদের তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই সতর্ক থাকতে হবে।
বিরোধী দলীয় নেতা আরও বলেন, উন্নয়ন হলেও সবাই এর ভাগীদার হতে পারেনি। কোনো দেশে বৈষম্য যদি বহুদিন ধরে চলে, তখন সেসব দেশে শুধু উন্নয়নই নয়, সামাজিক কাঠামো দুর্বল হয়ে যায়। দেশে আঞ্চলিক বৈষম্য বেড়ে চলেছে। উন্নয়নের সঙ্গে বৈষম্যও বাড়ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০২৩
এসকে/ইইউডি/আরএ