ঢাকা: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দেশের বিভিন্ন জেলায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তফসিল ঘোষণার পর উচ্ছ্বসিত।
তফসিলকে স্বাগত জানিয়ে সিলেটে আওয়ামী লীগের আনন্দ মিছিল
সিলেট থেকে বাংলানিউজের সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট জানিয়েছেন- দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিলকে স্বাগত জানিয়ে সিলেটে আনন্দ মিছিল করেছে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ। বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা রাতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আনন্দ মিছিল বের করা হয়। এরপর সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ঐতিহাসিক রেজিস্ট্রারি মাঠ থেকে তাৎক্ষণিক আনন্দ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. নাসির উদ্দিন খানের পরিচালনায় আনন্দ মিছিলের শুরুতে ঐতিহাসিক রেজিস্ট্রারি মাঠে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দেশের সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের একমাত্র পথ হচ্ছে নির্বাচন। সমগ্র জাতি অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় ছিল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার। কাঙ্ক্ষিত সেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষিত হয়েছে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে জাতি এখন মুখিয়ে রয়েছে।
ফেনীতেও আনন্দ করেছেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা
তফসিল ঘোষণায় ফেনীতে আনন্দ মিছিল করেছে আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। রাত ৮টার দিকে শহরের ফেনী পৌরসভা প্রাঙ্গণে থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি শহরের ট্রাংক রোড়, প্রেসক্লাব, বড় মসজিদ প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়। মিছিলে নেতাকর্মীরা বিএনপি জামায়াতের সহিংসতার বিরুদ্ধে স্লোগান দেন এবং তফসিল ঘোষণা করায় নির্বাচন কমিশনারকে অভিনন্দন জানান।
মিছিলে নেতৃত্ব দেন ফেনী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও ফেনী সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শহীদ খোন্দকার, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিব চৌধুরী, সহ-সভাপতি জিয়াউল আলম মিস্টারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
টাঙ্গাইলে বিএনপির মশাল মিছিল
তফসিল ঘোষণাকে অবৈধ দাবি করে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন জায়গায় মশাল মিছিল করেছে জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বুধবার (১৫ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে টাঙ্গাইল-আরিচা আঞ্চলিক মহাসড়ক, ময়মনসিংহ রোড ও জেলা সদর রোডে এ মশাল মিছিল করে তারা। টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাদিউজ্জামান বলেন, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির নির্দেশে সদর থানা বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে এ মশাল মিছিল হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করার জন্য সকল প্রকার আন্দোলনে মাঠে থাকবে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি।
টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহিন বলেন, টাঙ্গাইল-আরিচা আঞ্চলিক মহাসড়কে ও টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ রোডে মশাল মিছিল করেছে জেলা বিএনপির নেতাকর্মী ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। অবরোধ সফল করার জন্য এই মশাল মিছিল করা হয়েছে।
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস ছালাম মিয়া বলেন, আইন বহির্ভূত কোনো ঘটনা থাকলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সিরাজগঞ্জে আ.লীগের আনন্দ, বিএনপির মশাল মিছিল, সিএনজি ভাঙচুর
সিরাজগঞ্জেও আনন্দ মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ। তফসিলকে প্রত্যাখ্যান করে মশাল মিছিল করে বেশ কয়েকটি অটোরিকশা ভেঙেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শহরের রেলগেইট এলাকায় ঝটিকা মশাল মিছিল নিয়ে কয়েকটি অটোরিকশা ভাংচুর করে বিএনপি সমর্থকরা। পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় তারা।
সদর থানার ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, ১০/১২ জন জামায়াত-শিবিরের লোক ঝটিকা মিছিল নিয়ে রেলগেট এলাকায় আসে। তারা টায়ার জ্বালানোর চেষ্টা করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পরে সেখান থেকে পালিয়েও যায়।
ময়মনসিংহে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ-আনন্দ মিছিল
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ময়মনসিংহে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ ও আনন্দ মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি।
সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা ঘোষিত তফসিলকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল করেছে। ঘোষিত তফসিলকে ফরমায়েশি দাবি করে তা প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল করেছে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে সাটে ৮টা পর্যন্ত নগরেরর গাঙ্গিনাপাড়, নতুন বাজার ও আলীয়া মাদরাসা সড়কসহ বিভিন্ন স্পটে এসব পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালিত হয়। এর মধ্যে নগরীর গাঙ্গিনাপাড় এলাকায় তফসিলকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল করেছে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী মোহিত উর রহমান শান্তর সমর্থকরা। পৃথক আয়োজনে আনন্দ মিছিল করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী এহতেশামুল আলমসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের আরও অনেকে।
নগরের আলীয়া মাদরাসা এলাকায় বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল করেছে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জিএস. মাহাবুবের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা। নগরের খাগডহর এলাকায় বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল করেছে যুবদল ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এতে যুবদল নেতা টুটু, সুজা, এজিএস রাসেল, নাহিদ, কৃষকদলের নাজিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের রিপনসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। এছাড়াও পাটগুদাম ব্রিজমোড় এলাকায় কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জোবায়েদ হোসেন শাকিলের নেতৃত্বে বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল করেছে যুবদল।
যেকোনো ধরনের নাশকতা প্রতিরোধ এবং জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নগরজুড়ে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানাসহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও সংশ্লিষ্টরা।
বরিশালে একদিকে আনন্দ, অন্যদিক প্রতিবাদ মিছিল
তফসিল ঘোষণার পরপরই সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে নগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে প্রতিবাদ ও অভিনন্দনের পাল্টাপাল্টি মিছিল করেছে বিএনপি-আওয়ামী লীগ ও বাম গণতান্ত্রিক জোট।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার খবরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এ.কে.এম জাহাঙ্গীর এবং সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ’র নেতৃত্বে নগরে আনন্দ মিছিল করা হয়। এটি নগরের সোহেল চত্ত্বরের দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে কাকলীর মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। একই সময়ে সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাতের নির্দেশে আনন্দ মিছিল করা হয়। নগরের সার্কিট হাউজের সামনে থেকে বের হওয়া মিছিলে সিটি করপোরেশনের বর্তমান ও সাবেক কাউন্সিলররাসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। এই আনন্দ মিছিলও নগরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সার্কিট হাউজের সামনে নৌকা প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
অপরদিকে বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্য (দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত) জাহিদুর রহমান রিপন জানিয়েছেন, অবৈধ তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে নগরে মিছিল করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। তফসিল ঘোষণার পরপরই নগরের সিঅ্যান্ডবি রোডে প্রতিবাদ মিছিলটি বের করে মহানগর বিএনপির ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা। মিছিলে মহানগর বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের কোনো নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন না। দলের কর্মী-সমর্থকদের দাবি, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আলী হায়দার বাবুলসহ কয়েকটি ওয়ার্ডের শীর্ষ পদের নেতারা গ্রেপ্তারের পর থেকেই রাজপথে মহানগর বিএনপির শীর্ষ পদে থাকা বাকি নেতারা নেই। যুবদল, ছাত্রদল ও সেচ্ছাসেবক দলের কয়েকজন নেতা বরিশালে রাজপথে দলের কর্মসূচি পালন করছে।
রাতে শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত আইন মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রদলের আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির সুমনের নেতৃত্বে নগরের বান্দরোডে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে ও ১৬ নভেম্বর হরতালের সমর্থনে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নগরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট বরিশাল জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ। বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেত্রী ও জেলা বাসদের সদস্য সচিব ডা. মনীষা চক্রবর্তী জানান, মিছিলটি নিয়ে নগরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে নেতৃবৃন্দ। পাশাপাশি অশ্বিনী কুমার হলের সামনে সদররোডে প্রতিবাদ সমাবেশও করা হয়। এতে বক্তারা বলেন, একতরফা নির্বাচনের গণবিরোধী তফসিল জনগণ মানে না। অবিলম্বে ফ্যাসিবাদী সরকারের পদত্যাগ করতে হবে এবং নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। এ সময় বক্তারা একতরফা নির্বাচনের গণবিরোধী তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) অর্ধদিবস হরতাল পালনে সবাইকে আহ্বান জানান।
তফসিল বাতিলের দাবিতে নোয়াখালীতে জামায়াতের মিছিল-ভাঙচুর
নোয়াখালী: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদ ও বাতিলের দাবিতে নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে ঝটিকা মিছিল করেছেন জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। এছাড়া শহরের বিভিন্ন স্থানে টায়ারে অগ্নিসংযোগ, যানবাহনে ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে জেলা জামে মসজিদ মোড় থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে জেলা জাজ কোর্ট এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। মিছিলটি মাত্র ৫ মিনিট স্থায়ী ছিল।
জেলা জামায়াতে ইসলামের আমির মাওলানা ইসহাক খন্দকার মিছিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়া তফসিল ঘোষণার পর জেলা শহর মাইজদীর শহীদ ভুলু স্টেডিয়াম, নতুন বাসস্ট্যান্ড, বিশ্বনাথ এলাকা, দত্তের হাট, সেনবাগ উপজেলার ছমির মুন্সিরহাট এলাকা, বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী বাজার, জমিদার হাট, বাংলা বাজার এলাকার পলোয়নপুল এলাকা, আমিন বাজার ও রমজান বিবি এলাকায় প্রধান সড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে এবং বেশ কয়েকটি পিকআপভ্যান ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) নাজমুল হাসান রাজীব জানান, রাত ৮টার দিকে সেনবাগ উপজেলার ছমির মুন্সিরহাট, জমিদার হাট এলাকার নোয়াখালী-ফেনী আঞ্চলিক মহাসড়কের ওপর বিএনপি ও জামায়াত কর্মীরা টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে। পরে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে তারা পালিয়ে যায়।
তফসিল ঘোষণার পর চাঁদপুর-কুমিল্লা সড়কে গাড়ি ভাঙচুর
চাঁদপুর: জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক সড়কে সদর উপজেলার শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের সামনের এলাকায় ব্যাপক গাড়ি ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় বিভিন্ন ধরনের যানবাহনে থাকা কমপক্ষে ২০জন যাত্রী ও গাড়ির চালক আহত হন। তবে আহতদের নাম পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তফসিল ঘোষণার পর থেকে ওই এলাকায় ভাঙচুর শুরু করে দুর্বৃত্তরা। রাত ৮টায় খবর পেয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুর্বৃত্তদের ধাওয়া করে। পরে রাত ১০টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং সড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ হোসানই জানান, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই শাহমাহমুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে থেকে শুরু করে মান্দারী পর্যন্ত এলাকায় দুর্বৃত্তরা অটোবাইক, সিএনজি চালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, ট্রাকসহ অন্যান্য যানবাহন ভাঙচুর করে। এ সময়ের মধ্যে কমপক্ষে ২০ জন যাত্রী ও চালক আহত হয়। আহতদের মধ্যে অনেকেই স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। আবার অনেকে নিজ গন্তব্যে চলে গেছেন।
এদিকে ভাঙচুরের খবর পেয়ে চাঁদপুর থেকে ঘটনাস্থলে যান চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াসির আরাফাত, চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ মুহসীন আলমসহ পুলিশের একটি দল।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায় বলেন, সন্ধ্যার পর থেকেই ওই এলাকায় ভাঙচুর করার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। রাত ৮টার দিকে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। আমরা তাদের আটক করার চেষ্টা করি। তবে ওই মুহূর্তে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর আমরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করি। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
সময়: ০০৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২৩?আপডেট: ১০০৪ ঘণ্টা
এমএস/এসএইচডি/এনইউ/এইচএমএস/এমজে/আরএ