ঢাকা: বাংলাদেশের ভোটাধিকার হরণ ও গণতন্ত্র হত্যার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশন নিয়েছে মন্তব্য করে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, জনমত উপেক্ষা করে নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষণার মধ্য দিয়ে দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে সরকারের পদত্যাগ ও অবৈধ তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে অবরোধের সমর্থনে ১২ দলীয় জোটের বিক্ষোভ মিছিল শেষে জোট নেতারা এসব কথা বলেন।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে ১৯ ও ২০ নভেম্বর সরকারের পদত্যাগ ও তফসিল ঘোষণা বাতিলের দাবিতে সর্বাত্মক হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করেন নেতারা।
জোট নেতারা বলেন, দেশের প্রতিটি কাঠামোর ওপর সরকারের আঘাত ও লুটপাটের চিহ্ন আওয়ামী লীগের নির্মম ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকবে। তবে এই মুহূর্তে শেখ হাসিনা সরকারের বিদায় করতে না পারলে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব অরক্ষিত হবে।
দেশ রক্ষার প্রয়োজনে দেশবাসীকে রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, দেশ আমাদের। দেশের মালিক জনগণ, এই সরকারকে ক্ষমতায় রাখলে জনগণ মালিকানা হারাবে।
এ সময় বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক এমপি নওয়াব আলী আব্বাস খান, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামে বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আবদুল আউয়াল মামুন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান, লায়ন মো. ফারুক রহমান, জাতীয় পার্টির ভাইস প্রেসিডেন্ট হান্নান আহমেদ খান বাবলু ও যুগ্ম মহাসচিব কাজী নজরুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২৩
টিএ/এসআইএস