ঢাকা: রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনী প্রস্তুতির জন্য সময় দিতে হবে উল্লেখ করে অর্থবহ সংলাপের জন্য ‘যথেষ্ট সময়’ নেই বলে যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।
‘পূর্বশর্ত ছাড়া’ সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর চিঠির জবাবে এ কথা জানায় আওয়ামী লীগ।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ডোনাল্ড লুর চিঠির জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত একটি চিঠি ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। চিঠিটি দূতাবাসে নিয়ে যান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত।
চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু এবং সংঘাতমুক্ত করতে আন্তর্জাতিক বন্ধু এবং অংশীদারদের সাহায্য-সহায়তার প্রস্তাবের প্রশংসা করে আওয়ামী লীগ।
চিঠিতে দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমুন্নত রাখতে সর্বক্ষেত্রে অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে আওয়ামী লীগের প্রতিশ্রুতির কথা পুর্নব্যক্ত করেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের দল জনগণের ভোটাধিকারকে একটি পবিত্র অধিকার মনে করে। সেই অধিকারকে সুরক্ষিত রাখতে আমাদের দলের নিরলস সংগ্রাম এবং ত্যাগের দীর্ঘ ও বর্ণাঢ্য ঐতিহ্য রয়েছে।
চিঠিতে ডোনাল্ড লুকে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনি অবগত আছেন বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে, যেখানে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে মনোনয়ন দাখিল করার শেষ দিন।
চিঠিতে সংলাপ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক মাস ধরেই অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে শর্তহীন সংলাপের দরজা খোলা রেখেছিল। যাই হোক, সংলাপের পূর্ব শর্ত হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পদত্যাগের দাবিতে অনড় থাকায় এ ধরনের সংলাপ বাস্তবায়ন হয়নি।
তিনি বলেন, বর্তমানে বিএনপি-জামায়াত এবং তাদের সমমনা দলগুলো সরকারের পদত্যাগের দাবিতে অবরোধ করছে। এবং অবরোধ কার্যকরের জন্য অগ্নিসংযোগের মতো জোরপূর্বক রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মতে, ২৮ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত অবরোধ সমর্থকরা মোট ১৫৪টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে। এমনকি চলমান অবরোধ ও এসব কর্মসূচির মূল দাবির মধ্যেও আওয়ামী লীগ যদি বিএনপিসহ অন্যদের সঙ্গে বসতে চাইতো তাহলেও আসলে অর্থপূর্ণ সংলাপের পরিস্থিতি নেই।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগামী সপ্তাহগুলোতে রাজনৈতিক দলগুলোকে ৩০০ আসনে প্রার্থী মনোনয়ন চূড়ান্ত করা, ইশতেহার তৈরি করা, প্রচারণার কৌশল চূড়ান্ত করা, ভোটারদের কাছে প্রচার-প্রচারণাসহ তাদের নির্বাচনী কাজে সময় দিতে হবে। এমনকি সব কিছু যদি একটি সংলাপের জন্য অনুকূল হতো, সেখানে বাস্তব ফলাফল আনবে সেরকম একটি অর্থবহ সংলাপ করার জন্য যথেষ্ট সময় নেই।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২৩
এমইউএম/এসএএইচ