ঢাকা: রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় মানববন্ধন করেছে গণ অধিকার পরিষদ, যুব অধিকার পরিষদ, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, ১২ দলীয় জোট, প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর এ কর্মসূচি পালন করছে।
সেখানে স্টপ এক্সট্রাজুডিসিয়াল কিলিংস, উই ওয়ান্ট ভোট রাইটস, ফ্রি ডেমোক্রেসি, ফ্রি বাংলাদেশ, মাই ভোট, মাই রাইটস ইত্যাদি স্লোগান সম্বলিত ব্যানার নিয়ে দাঁড়ান তারা।
মানববন্ধনে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর বলেন, আজকে আমরা সমস্ত দিন মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে দাঁড়িয়েছি। যদি মানবাধিকার থাকত, তাহলে হয়ত আমরা দাঁড়াতাম না। ১৯৭১ সালে আমরা একটা স্বাধীন ভূ-খণ্ড পেয়েছি। কিন্তু, সামাজিক, রাজনৈতিক মুক্তি এখনও আসেনি। আজকে দেশের নির্বাচনে প্রতিবেশী দেশ হস্তক্ষেপ করে। সেই প্রতিবেশী কারা, আপনারা জানেন নিশ্চয়। ইন্ডিয়ার গোলামি করার জন্য আজ দেশের নিজের সব চিনিশিল্প, চামড়া শিল্প, কাঁচাবাজার ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন আমাদের রপ্তানিখাতের যে সোনার ডিম পাড়া হাঁস, সেই গার্মেন্টস নাকি বন্ধ হয়ে যাবে, শুনতে পাচ্ছি। সব, ইন্ডিয়ার ষড়যন্ত্র। আজকে শেখ হাসিনা তার বাবার হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য মানুষকে নির্যাতন করেছে।
গণ অধিকারের এ নেতা বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তোমরা আমার বাবার মৃত্যুতে কাঁদোনি, তোমাদের আমি কাঁদাবো। আজকে সরকার সেটিই করছে। আজকে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে, চালের দাম, ডালের দাম বাড়ছে। অথচ, আমাদের কৃষকরা সিজনে দাম পায় না। আজকে সমস্ত রাজনৈতিক দলের যে লড়াই, সে লড়াইকে এগিয়ে যেতে হবে। আজকে হাসিনা-মোদির যৌথ প্রযোজনায় যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে, সেই একতরফা নির্বাচন প্রতিহত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আজকে পুলিশ মরা মানুষকে দৌঁড়ে যেতে দেখেছে, মিথ্যা, গায়েবি মামলা দিয়ে মানুষকে হয়রানি করছে। শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখার জন্য আজকে পুলিশ নিষেধাজ্ঞায় পড়তে যাচ্ছে। পুলিশকে টার্গেট দেওয়া হচ্ছে প্রত্যেক থানায়-থানায় মানুষকে আটক করতে হবে। কাজেই, পুলিশ জনগণের বাহিনী নয়। পুলিশ যদি জনগণের পক্ষে থাকে, তাহলে তারা জনগণের বাহিনী থাকবে, না হলে তারা রক্ষীবাহিনীতে পরিণত হবে।
গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন বলেন, আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। যেখানে আমরা সরকারের প্রশংসা করার কথা, সরকার গুম, খুনের মাত্রা কমাবে। সেখানে ২০২১ সালে র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় না। এই যে বিএনপি অফিসের সামনে শত-শত পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে। অন্যদিকে নির্বাচন হচ্ছে। এ নির্বাচন কমিশন আজকে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। এই রাষ্ট্রের কাঠামোই স্বৈরাচারী, আমরা আজকে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য রাস্তায় নেমেছি। প্রত্যেকটি জায়গায় এই সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। আজকে আমরা শপথ নিলাম, আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
পরে, একটি মিছিল বিজয়নগর পানির টাংকি থেকে প্রেসক্লাবে এসে শেষ হয়। এ সময় ‘হামলা-মামলা হুলিয়া, নিতে হবে তুলিয়া’, অ্যাকশন টু অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২৩
এমকে/জেএইচ