ঢাকা: ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, যারা জ্ঞান ও প্রজ্ঞার আলো দিয়ে স্বাধীনতার সূর্যকে সাজিয়েছেন। যাদের বুদ্ধিমত্ত্বায় রাজনৈতিক নেতৃত্বে স্বাধীনতার বিজয়, যাদের মেধায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আলোকিত, যাদের কলমযুদ্ধে জাতির বিবেক ন্যায় ভ্রষ্টের পথে অবিচল ছিল।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক যুক্ত বিবৃতিতে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা এসব কথা বলেন।
নেতারা আরও বলেন, ডান, বাম ও মধ্যপন্থিদের সম্মিলিত আন্দোলনে সরকারের পতন হবে। মুক্তির সংগ্রামে ১৯৭১ সালে সারা বাংলার মানুষ যেভাবে একত্র হয়েছিল, একইভাবে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ। সমগ্র বাংলাদেশ আজ বিরোধী দল এবং দেশের জনগণ মুক্তির সংগ্রামের সৈনিক।
নেতারা বলেন, আজ দেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও মৌলিক অধিকারের সংগ্রামে রাজপথে নেমে এসেছে। এ সরকার জুলুমবাজ, দুর্নীতিবাজ ও অত্যাচারী সরকার। তাদের হাতে যেমন দেশ নিরাপদ নয়! তেমনি জনগণের অধিকারগুলোও অনিরাপদ। সুতরাং শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং জনগণ তাদের দাবি আদায় না করা পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাবে না।
নেতারা আরও বলেন, প্রতিনিয়ত নিত্যপণ্যের মূল্য বাড়ার কারণে দেশের নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর করুণ অবস্থা চলছে। অনাহারে-অর্ধাহারে অসংখ্য পরিবার জীবনযাপন করছে। বহু পরিবারের আয়ের উৎস বন্ধ হয়ে গেছে। কারো আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের পরিমাণ তিনগুণ বেড়েছে। এভাবে ভাতে-পানিতে মানুষ মারার অধিকার শেখ হাসিনাকে আর দেওয়া যাবে না।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব ও ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শামসুদ্দীন পারভেজ, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম, ইসলামিক ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রকিব ও ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২৩
টিএ/জেএইচ