ঢাকা, বুধবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

দেশের পুরো অর্থনীতি সরকারের সিন্ডিকেটের কাছে আক্রান্ত: সাকি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২৩
দেশের পুরো অর্থনীতি সরকারের সিন্ডিকেটের কাছে আক্রান্ত: সাকি কথা বলছেন জোনায়েদ সাকি।

ঢাকা: দেশের পুরো অর্থনীতি সরকারের সিন্ডিকেটের কাছে আক্রান্ত, এমন মন্তব্য করে গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, রাতের আঁধারে যখন বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের সরকার ধরতে আসে তখন তারা পরাক্রমশালী। আর বাজার সিন্ডিকেটকে যখন ধরতে বলা হয় সরকার বলে তাদের ধরা যাবে না।

তাদের ধরলে বাজারে নাকি দাম আরও বেড়ে যাবে। এর অর্থ কি দাঁড়ায়, সরকার নিজেই সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট গ্রাম থেকে শুরু করে সমস্ত দেশে সরকারের এই সিন্ডিকেট বিস্তৃত। দেশের পুরো অর্থনীতি সিন্ডিকেটের কাছে আক্রান্ত।

বুধবার (২০ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাজার সিন্ডিকেট, একতরফা নির্বাচন ও পরিকল্পিত সহিংসতার বিরুদ্ধে গণতন্ত্র মঞ্চের আয়োজিত সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।  

জোনায়েদ সাকি বলেন, সরকারের এই সিন্ডিকেট শুধু বাজারে নয় দেশের ব্যাংক ব্যবস্থাপনাগুলোর দিকে তাকালে দেখবেন সেখানেও ছড়িয়ে পড়েছে। হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যাংকগুলো থেকে নিয়ে, ব্যাংকগুলোকে ফোকলা করে দিচ্ছে। আমাদের দেশের ব্যাংকগুলো কখন পুরোপুরিভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে সে অপেক্ষায় আছেন অর্থনৈতিকবিদরা। দেশের পুরো অর্থনীতি সিন্ডিকেটের কাছে আক্রান্ত। আর এই সিন্ডিকেটের মূলহোতাই হচ্ছে সরকার।   

ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সরকার ভয়ংকর খেলা খেলছে, এমন মন্তব্য করে জোনায়েদ সাকি বলেন, আজকে ট্রেনে আগুন দেওয়া হচ্ছে। এই ট্রেনে আগুন দিয়ে বিরোধী দলের কি লাভ। আপনারা দেখবেন ট্রেনে আগুন দেওয়ার ফলে সরকার পুরো দোষ বিরোধী দলের ওপর চাপাচ্ছে এবং চাপিয়ে আরও নতুন নতুন মামলা করছে। এই কাজ করার সুযোগ যেহেতু সরকার পাচ্ছে কাজেই রাজনৈতিকভাবে সব সহিংসতার লাভ এই সরকার পেয়েছে। ট্রেনে ও বাসে আগুন দেওয়ার সঙ্গে গণতন্ত্রকামী মানুষের কোনো সম্পর্ক নেই। সুতরাং এর ফলে লাভ কার হয় তা জনগণ বিবেচনা করবে যে এই সহিংসতা কে ঘটিয়েছে।
 
সাকি বলেন, এই অবৈধ সরকারকে কেউ ভোট দিতে যাবে না। আমরা আর এই অবৈধ সরকারকে কোনোভাবে সাহায্য সহযোগিতা করব না। লড়াই চলছে, লড়াই চলবে। নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা বাংলাদেশের জনগণ মানবে না। ফলে বাংলাদেশের মর্যাদা রক্ষার জন্য, নাগরিকের অধিকার রক্ষার জন্য, এই সিন্ডিকেট উৎখাত করব। এই একতরফা নির্বাচন উৎখাত করব। পরিকল্পিত সহিংসতা করে জনগণকে পুড়িয়ে মারার যে ষড়যন্ত্র, এগুলোকে আমরা উৎখাত করব এবং বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনঃ প্রতিষ্ঠা করব।
 
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, নাগরিকত্বের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যান্য নেতারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২৩
ইএসএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।