লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পরিষদ ও ওই আসনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে প্যান্ডেল ও সামিয়ানা টাঙিয়ে জনসভা করেছেন লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের নৌকার প্রার্থী গোলাম ফারুক পিংকু।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে অনুষ্ঠানটি শুরু করা হয়।
উচ্চস্বরে মাইক বাজিয়ে সেখানে বক্তব্য দেন প্রার্থীসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
যদিও নির্বাচনী আইনে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা চালানোর ক্ষেত্রে দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি।
এ আসনে নৌকার প্রার্থী হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক পিংকু।
এদিকে একই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা এমএ সাত্তার তার নিজ এলাকা বটতলীতে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের জড়ো করে তার পক্ষে ভোট চান। ওই অনুষ্ঠানটিও শুরু হয় বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে।
স্থানীয়রা জানায়, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পরিষদের পূর্ব পাশে গেটের মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে প্যান্ডেল তৈরি করে সামিয়ানা টাঙিয়ে নৌকার জনসভার আয়োজন করা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে আনুষ্ঠানিকতা শুরু করা হয়। সেখানে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা এসে জড়ো হয়। দুপুর দেড়টার দিকে জনসভা চলাকালীন মাইকের তীব্র শব্দে পাশের মসজিদে মুসুল্লিদের নামাজ পড়তেও বেগ পেতে হয়। দুপুর পৌনে ২টার দিকে অনুষ্ঠানে নৌকার প্রার্থী গোলাম ফারুক পিংকু বক্তব্য দেন। সোয়া ২টার দিকে অনুষ্ঠান শেষ হয়। সেখানে লোকজনের মাঝে দুপুরের খাবার বিতরণ করা হয়।
খোদ সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে জনসভা করায় অনেকের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান ক্যামেরার সামনে বক্তব্য না দিলেও তিনি জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট সময়ের আগে প্রচার-প্রচারণা আচরণবিধি লঙ্ঘন। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে তিনি মাঠ পর্যায়ে দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনারকে মোবাইল ফোনে বলেছেন। তিনি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।
এদিকে একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের এমএ সাত্তার তার নিজ এলাকা বটতলীতে দুই থেকে তিন শতাধিক ইমাম-মুয়াজ্জিনকে জড়ো করে তার পক্ষে ভোট করার জন্য বলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ভোট করার জন্য তাদের বিভিন্ন সহযোগিতার আশ্বাস দেন প্রার্থী। দুপুর ১টার দিকে অনুষ্ঠান শেষে সবার মাঝে দুপুরের খাবার (বিরিয়ানি) পরিবেশন করা হয়।
স্থানীয়রা জানায়, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাত্তারও নির্দিষ্ট সময়ের আগে সভার আয়োজন করে এবং লোকজনের মাঝে খাবার বিতরণ করে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। নির্বাচনী আইনে অফিসে ভোটারদের মাঝে খাবার বিতরণে বিধিনিষেধ রয়েছে।
এ দুই প্রার্থী নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২৩
আরএ