ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

হারাম খাব না, খেতেও দেব না: সেলিম ওসমান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৩
হারাম খাব না, খেতেও দেব না: সেলিম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য প্রার্থী একেএম সেলিম ওসমান বলেছেন, কাজিম ভাই বলেন ৮০ শতাংশ কাজ হয়েছে। আমি বলি ৮০ শতাংশ কাজ বাকি।

আল্লাহর রহমত আমরা নাসিম ওসমান সেতু করতে পেরেছি। নবীগঞ্জে ফেরি চালু করতে পেরেছি। আমি পরিশ্রম করেছি। আমি হারাম খাবো না, খেতেও দেবো না৷ এ বলে আমি এখানে এসেছি। আল্লাহ আমাকে অনেক দিয়েছেন। আমার একটাই চাহিদা। আপনাদের দোয়ার মাধ্যমে আমি যেন আপনাদের শান্তিতে রাখতে পারি। এটুকুই আপনাদের কাছে চাওয়া।

শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে বন্দরের মদনপুরে নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার বড় ভাই নাসিম ওসমানকে অত্যন্ত ভালোবাসতেন। সংসদে শোক প্রস্তাব পেশ করার সময় তার চোখ দিয়ে কীভাবে পানি পড়ছিল আমরা দেখেছি। ভাইয়ের মৃত্যুর পর আমার মায়ের নির্দেশে আমি আপনাদের গোলামি করতে এসেছি। সেসময় এরশাদ সাহেব ফোন দিয়ে বললেন তুমি তোমার ভাইয়ের সম্মানের জন্য নির্বাচনটা কর। মা বলল আল্লাহ তোমাকে সামর্থ্য দিয়েছে, তোমার জীবনটা উৎসর্গ করে দাও নারায়ণগঞ্জের মানুষের জন্য।

তিনি বলেন, আমি অসুস্থ হওয়ার পর নারায়ণগঞ্জে প্রতিদিন দোয়া হয়েছে। ডাক্তারের ওষুধে নয় আপনাদের দোয়ায় আমি এখানে আসতে পেরেছি। আমি আপাকে বলেছিলাম আমি নির্বাচন করতে চাই, তবে আমাকে নৌকায় তুলতে হবে। তফসিলের পর নারায়ণগঞ্জ-৫ তিনি খালি রেখে দিলেন। তার নির্দেশে আমি নির্বাচন করতে এসেছি।

বঙ্গবন্ধুকে তিন বছরের মাথায় আমরা মেরে ফেললাম। তাকে হত্যা করে আমরা হতবাক, কেউ রাস্তায় বের হতে পারলাম না। কে হত্যা করল। আওয়ামী লীগের একজন, খন্দকার মোশতাক। মুক্তিযোদ্ধারা পরিচয় দিতে পারত না, কেউ জয় বাংলা বলতে পারত না। আজ প্রধানমন্ত্রী চারবার দায়িত্ব নিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরি করতে পেরেছেন। আজ আপনারা এখানে বসেই আপনার দোকানপাটের খবর নিতে পারেন।

সেলিম ওসমান বলেন, আমার কাছে কেউ কিছু চায় না। শুধু আমার মা বোনেরা বলে, গ্যাস চাই। গ্যাসটা বানানো যায় না। চৈত্র মাসে বৃষ্টি হবে না, বর্ষায় বৃষ্টি ঠেকাতে পারবেন না। আমরা যদি অপচয় করি তাহলে কিছু করার নেই। স্বাধীনতার পর গ্যাস পাওয়া গেল। বঙ্গবন্ধু বললেন বাড়ি বাড়ি গ্যাস দাও। আমরা ম্যাচের কাঠি বাঁচানোর জন্য গ্যাস জ্বালিয়ে রাখলাম। গ্যাস দিয়ে কাপড় শুকালাম। সবচেয়ে বেশি আল্লাহ অপচয়কারীকে অপছন্দ করেন। গ্যাস আমরা আনতে পারবো না। এটা আল্লাহর রহমত। গ্যাসের জন্য অস্থির হবেন না। আমি মিথ্যা আশ্বাস দেব না। আমি আমার সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করবো। নতুন নতুন কূপ পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৩
এমআরপি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।