মানিকগঞ্জ: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ আসনে নৌকায় ভোট না দিলে গুলি ও হাত কেটে নেওয়ার হুঁশিয়ার দিয়েছেন সিংগাইর উপজেলার আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলী ইস্কান্দার।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে সিংগাইর উপজেলার তালেবপুর ইউনিয়নের ইতরা গ্রামে স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর কর্মীরা প্রচারণা চালানোর সময় এই হুমকি দেন।
হুমকি দেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, আলী ইস্কান্দার উচ্চস্বরে বলছেন ডা. জিলকদ নমিনেশন নিয়া আসছিল। জিলকত ভাইকে ভোট দেয় নাই, এবার আমার দেখার আছে। আমিতো ভেতরে থাকবো, নৌকায় ভোট কে না দেয়। হাত কাইটা (কেটে) ফালামু আমি ইস্কান্দার। জিলকদের ভাই আমি, জিলকদকে ভোট দেয় নাই। এখানে ঘা, হাত কাইটা ফালামু, রেডি থাইকো। সাহস থাকে পাল্লা লইবা আমার লগে, কে আছে আমার এগিনেষ্টে যাবে ?। লজ্জা করে না তোমাদের ?, দেখার আছে আমার। খোদার কসম দেখার আছে, এই বার। চৌদ্দ শিকে ঢুকাইয়া ছাইরা দিমু। সরকার আমার, পাওয়ার আমার, প্রশাসন আমার এমপি আমার। যাইও ভোট দিবার যাইও ট্রাক মার্কায়। ট্রাকের চাকার তলে (নিচে) ফালাই দিমু, ফাজলামো!। হাড্ডি মাংস এক কইরা ফালামু, প্রত্যেকটাকে গুলি করবো।
ঘটনার সময় উপস্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর কর্মী রাহুল খান ইমু বলেন, মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে আব্দুর রাজ্জাক, মিনহাজ, আমিনুর, শাহিনুর ও মানিকসহ বেশ কয়েকজন কর্মী ইরতা এলাকায় ছোট পোস্টার (হ্যান্ড বিল) বিতরণের মাধ্যমে ভোটারদের কাছে ট্রাক মার্কায় ভোট চাইছিলেন। এসময় সেখানে একটি প্রাইভেটকার নিয়ে উপস্থিত হন সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি আলী ইস্কান্দার। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের হাত কেটে নেওয়াসহ নানা হুমকি ধামকি দেন। এসময় একজন এই দৃশ্য ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগসহ-সভাপতি আলী ইস্কান্দার বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীরা টাকা ও চকলেট বিতরণ করছে খবর শুনে আমি সেখানে যাই। আমার ভাই ডা. জিলকদ এক সময় নৌকার প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করে ছিলেন কিন্তু তারা ভোট দেয়নি। এ কারণে মনে অনেক কষ্ট উত্তেজিত হয়ে তাদের অনেক কথা বলেছি। আমি রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারি নাই।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৩
এসএম