সিলেট: আড্ডাস্থলের আধিপত্য নিয়ে বিরোধের জেরে যুবলীগের এক পক্ষ অপর পক্ষের তিনজনকে কুপিয়ে জখম করেছে। এসময় ভাঙচুর করা হয়েছে উভয়পক্ষের সাতটি মোটরসাইকেল।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে নগরের পাঠানটুলা স্কলার্সহোম স্কুলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- নগরের জালালাবাদ নতুন বাজারের বীরেন্দ্র দাসের ছেলে যুবলীগ নেতা বিদ্যুৎ দাস (৩৫), নগরের মদীনা মার্কেট এলাকার আব্বাস মিয়ার ছেলে রশিদ আহমদ (৩৫) ও আলী (৩৩)। ঘটনার পর গুরুতর আহত তিনজনকে প্রথমে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় আলীকে ঢাকা পাঠানো হয়।
এছাড়া প্রতিপক্ষ গ্রুপের যুবলীগ নেতা শিপলুও এ ঘটনায় আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, যুবলীগের বিদ্যুৎ দাস ও শিপলু গ্রুপের নেতাকর্মীরা স্কলার্স হোমের সামনে আড্ডাস্থল দখল নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। এসময় বিদ্যুৎসহ তার গ্রুপের তিনজনকে কুপিয়ে জখম করেন শিপলু ও তার লোকজন। এসময় শিপলুও আহত হন। একপর্যায়ে পাল্টা পাল্টি হামলা চালিয়ে সাতটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত রশিদ আহমদ দাবি করেন, বিদ্যুৎ গ্রুপের নেতৃত্বে যুবলীগের একটি গ্রুপ পাঠানটুলা স্কলার্সহোম স্কুলের সামনে আড্ডায় বসত। তারা সিসিক মেয়রের বলয়ের নেতাকর্মী। মঙ্গলবার ওই এলাকায় প্রতিপক্ষ যুবলীগ নেতা শিপলুর জুয়ার বোর্ডে গোয়েন্দা পুলিশ হানা দেয়। জুয়ার বোর্ডটি পরিচালনা করতেন যুবলীগ নেতা শিপলু। তাদের ধারণা, বিদ্যুৎ গ্রুপ খবর দিয়ে সেখানে অভিযান পরিচালনা করিয়েছে। শিপলু এলাকায় এমন কোনো খারাপ কাজ নেই, যা করে না। এরই জের ধরে যুবলীগ নেতা শিপলুর নেতৃত্বে ২০/২৫ জন আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশি অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এসময় তাদের তিনজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়।
সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈন উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, পাঠানটুলা স্কলার্স হোম স্কুলের সামনে বসা নিয়ে যুবলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে চারজন আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫০ ঘন্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৪
এনইউ/এসআই