ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

বাইডেনের চিঠি নিয়ে কাদেরের প্রশ্ন, বিএনপি এখন কী বলবে?

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৪
বাইডেনের চিঠি নিয়ে কাদেরের প্রশ্ন, বিএনপি এখন কী বলবে?

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি লিখে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাংলাদেশের উচ্চাভিলাষী অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে সমর্থনের পাশাপাশি একটি অবাধ ও মুক্ত ভারত–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল প্রতিষ্ঠার অভিন্ন স্বপ্ন পূরণে অংশীদারত্ব প্রতিষ্ঠায় ঢাকার সঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।

এ চিঠি নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপিকে প্রশ্ন করেছেন আওয়ামী লীদের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেছেন, অর্থনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার করে চিঠি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বিএনপি এখন কী বলবে?

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এ প্রশ্ন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা পালিয়ে গেছে, কেউ গা ঢাকা দিয়েছে। এখন আপনাদের ক্ষমতায় আসার শক্তির উৎসটা কি? জনগণ আপনাদের কাছ থেকে সরে গেছে। জনগণ ও নেই বিদেশি বন্ধুরাও বিএনপিকে ছেড়ে চলে গেছে। যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি বেশি ভরসা ছিল সেই যুক্তরাষ্ট্রও শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেছে। এখন ক্ষমতায় যেতে বিএনপি কোন আশায় বসে থাকবে?

মিয়ানমারে সংঘাত ও দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্যদের বাংলাদেশে চলে আসা সম্পর্কে আলাপ করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, মিয়ানমার সীমান্তের সংঘাতে বাংলাদেশের সীমান্তের দুই তিনটা গ্রাম থেকে নাগরিকদের চলে আসা উদ্বেগের। তাদের অভ্যন্তরীণ সংঘাতে গোলাগুলি, মর্টার সেল এখানে এসে পড়ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। মিয়ানমারের এ সংঘাত তাদের অভ্যন্তরীণ। তার প্রভাবে সৃষ্ট আতঙ্ক যেন প্রতিবেশী দেশে না ছাড়ায় সেজন্য তাদের নিজেদেরই সমাধান করা উচিত। এছাড়া জাতিসংঘের মধ্যস্থতায়ও সমাধান করতে পারে। মিয়ানমারের চলমান সংঘাতে নতুন করে রোহিঙ্গাদের আগমনে উদারতা দেখাবে না বাংলাদেশ। এমনিতেই এত বোঝা। আর নিতে পারবো না।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ড প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, একটা দলের সবাই ভালো মানুষ এমন দাবি করতে পারি না। খারাপ কাজও করে কিছু মানুষ। আমরা খারাপ কাজটা প্রশ্রয় দিই না। আইনের আওতায় আশার মতো অপরাধ হলে আইনের আওতায় আনা উচিত। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে অতীতেও কেউ অপরাধ করে পার পায়নি।

এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৪
এসকে/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।