ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

আমরা একটা পরাধীন জাতিতে পরিণত হয়েছি: হাফিজ উদ্দিন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২১ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২৪
আমরা একটা পরাধীন জাতিতে পরিণত হয়েছি: হাফিজ উদ্দিন

ঢাকা: ব্যক্তিগত লাভের জন্য আওয়ামী লীগ দেশের সবকিছু ধ্বংস করে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.)  হাফিজ উদ্দিন আহমদ।  

তিনি বলেন, আমরা একটা পরাধীন জাতিতে পরিণত হয়েছি, এতে কোনো সন্দেহ নেই।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য কামনায় এ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে বুয়েট ছাত্রদলের সাবেক নেতারা।  

রাজধানীর লেকশোর হোটেলে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও আইইবির প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী আ ন হ আক্তার হোসেন।  

বুয়েট ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আসিফ হোসেন রচির সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার।

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে মেজর হাফিজ উদ্দিন বলেন, আমি জিয়াউর রহমানকে খুব কাছ থেকে দেখেছি। তার মতো নেতা দেখিনি। তার ঘোষণায় অনেকেই উজ্জীবিত হয়েছেন। তার নেতৃত্বে আমরা ৫টি ক্যান্টনমেন্টে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলাম। আজকে তাকে বলা হয়-বেতনভুক্ত কর্মচারী। যারা বলেন- এ কথা বলার আগে তাদের লজ্জা হওয়া উচিত। আমার তো শেখ মুজিবুর রহমানকে ছোট করি না। যার যা অবদান তাকে তার সম্মান দিতে হবে। ইতিহাস তার সঠিক পরিমাপ নিরুপণ করবে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার চিন্তা আওয়ামী লীগের কখনোই ছিল না। তারা তো পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্বশাসনে বিভোর ছিল। তাদের নেতা তো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে তো ধানাই পানাই করার সুযোগ নেই। এদেশের ছাত্রসমাজের বিশাল অবদান স্বাধীনতা যুদ্ধে রয়েছে। অনেকেই জীবন উৎসর্গ করেছেন।

মেজর হাফিজ বলেন, মুক্তিযুদ্ধে তিনজনকে আমি রোল মডেল মানি। এরা হলেন- তাজউদ্দীন আহমদ, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এরা ছিলেন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। জিয়াউর রহমান শহীদ হওয়ার পর দেখা গেল তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে একটি টাকা নেই। আজকে মুক্তিযুদ্ধের নানা রকম গল্প-কাহিনি শোনান অনেকে। আমরা জীবন হাতে নিয়ে যুদ্ধ করেছি। আর আমাদেরকেই বলা হয় বেতনভুক্ত কর্মচারী! জিয়াউর রহমান ছিলেন অনুপ্রেরণা।  

সাবেক এ মন্ত্রী আরও বলেন, আজকে দেশে কথা বলা ও লেখার স্বাধীনতা নেই। ব্যাংকগুলো লুট হয়ে গেছে। এভাবে কি দেশ চলবে? বিএনপি অনেক করছে। জনগণকে বলবো আপনারা সবাই আমাদের সঙ্গে সামিল হোন।

তিনি বলেন, আমি ১৯৭১ সালে দেখেছি দেশের সব শ্রেণিপেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেছিলেন। আজকে ব্যক্তিগত লাভের জন্য দেশের সবকিছু ধ্বংস করেছে আওয়ামী লীগ। ইনশাআল্লাহ জনগণ সবাই মিলে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। এ সরকারের পতন ঘটবে। আপনারা সবাই প্রস্তুত থাকুন আবারও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ডাক আসবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২৪
টিএ/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।