ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ইউনাইটেড হাসপাতাল অমানবিক আচরণ করেছে: রিজভী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৭ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২৪
ইউনাইটেড হাসপাতাল অমানবিক আচরণ করেছে: রিজভী

ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকারের ভয়ে তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের চিকিৎসায় সহযোগিতা না দিয়ে ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অমানবিক আচরণ করেছে।

তিনি বলেন, এদেশের সাধারণ মানুষ যদি এখন এই হাসপাতালের ইট খুলে নিয়ে যায়, তাহলে তাদের করার কিছু থাকবে না।

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা করে সোমবার (২৪ জুন) দুপুরে নয়াপল্টনে স্বেচ্ছাসেবক দলের দোয়া মাহফিলে রিজভী এসব কথা বলেন।

জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদিকা সুলতানা আহমেদের সঞ্চালনায় এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে কারাগারে নিয়ে খাবারের মধ্যে নানা রকমের ওষুধ দিয়ে অসুস্থ করা হয়েছে। উদ্দেশ্য হলো, তাকে তিলে তিলে শেষ করা।

রিজভী বলেন, যে নেত্রীকে দেখলাম পায়ে হেঁটে কারাগারে ঢুকলেন, সেই নেত্রী বের হলেন হুইল চেয়ারে। আজকে তিনি একের পর এক রোগাক্রান্ত, একের পর এক অসুস্থতায় ভুগছেন। এটার অন্য কোনো কারণ নেই। এটার নতুন করে অন্য কোনো ব্যাখ্যার প্রয়োজন পড়ে না। খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে শেষ করার জন্য কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাকে খাবারের মধ্যে নানা ধরনের ওষুধ দিয়ে নানা অসুস্থতায় ভোগানো হচ্ছে।

আইনমন্ত্রীকে মানসিকভাবে অসুস্থ উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, যখনই খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার কথা বলা হয়, আইনমন্ত্রী সাথে সাথে বলে দেন এটা হবে না। অনেকেই বলেন, আইনমন্ত্রী মানসিকভাবে অসুস্থ। তার মধ্যে কোনো করুণা, সহানুভূতি, মানবিকতা নেই।

ভারতের সঙ্গে সমঝোতার স্মারক স্বাক্ষর প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, এই চুক্তি সার্বোভৌমত্ব বিক্রি করে দেওয়ার চুক্তি। নিজের স্বার্থ ছাড়া এক দানা চালও দেবে না ভারত। শহীদের রক্ত ডিঙিয়ে করিডোর দিতে চাননি বলেই খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা হয় না।

সম্প্রতি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ ইস্যুতে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের দেওয়া বিবৃতির বিষয়টি তুলে ধরে রিজভী বলেন, পুলিশের বিবৃতি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য হুমকি। শেখ হাসিনার অবৈধ ক্ষমতাকে বৈধতা দিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের মহাপরিকল্পনার অংশ পুলিশ, তাই সরকার লুটপাটের সুযোগ দেবে না কেন? দেশে যেই অপরাধ করুক তার বিচার হওয়া উচিত। পাচারকারী, ভূমিদস্যু, দুর্নীতিবাজদের পক্ষে কথা বলছে সরকার। অন্যায়-অবৈধ কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখতে বিবৃতি দিয়ে প্রচ্ছন্ন হুমকি দিচ্ছে পুলিশ।

তিনি আরও বলেন, সত্যের প্রতিধ্বনি হলে পুলিশের গায়ে লাগে। চাকরির নামে দোসর হয়ে হাজার কোটি টাকা লুট করে পাচার করছে পুলিশের কর্মকর্তারা। প্রশাসন ক্যাডার এখন এমন লাভজনক হয়েছে যে, ডাক্তার এবং ইঞ্জিনিয়ররাও এই প্রফেশনে চলে আসতে চায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২১ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২৪
টিএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।