ঢাকা, সোমবার, ৭ আশ্বিন ১৪৩১, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

লক্ষ্মীপুরে আ. লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪
লক্ষ্মীপুরে আ. লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ হাসপাতালে নুর আলমের নিথর দেহ।

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে নুর আলম (৬০) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার জন্য খোকন নামে স্থানীয় এক বিএনপি কর্মীকে দায়ী করেছেন নিহতের পরিবার।

নুর আলমের মরদেহ জেলা সদর হাসপাতালে রাখা হয়েছে। তিনি পাঁচপাড়া ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন বলে জানিয়েছে নিহতের পরিবারের লোকজন। বাড়ির পাশের একটি দোকানে পোশাক সেলাইয়ের কাজ করতেন তিনি। দুই মেয়ে ও এক ছেলের জনক নুর আলম।

নিহতের ছেলে আরিফ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, সন্ধ্যার পর আমার বাবা ঘরে ছিলেন। তার ফোনে একটি কল আসে, লোকজন তাকে মারতে আসছেন। তিনি ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়া মাত্রই আমাদের ঘরের পেছনে হামলাকারীরা তাকে আক্রমণ করেন। তাকে লাঠিসোঁটা দিয়ে মারধর করা হয়। তিনি পুকুরের পানিতে পড়ে যান।  সেখান থেকে তুলে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। আমার বাবা তাদের বলেছিলেন ‌‌‘আমাকে মেরো না, তুলে নিয়ে যাও’। তারপরও তারা আমার বাবাকে মেরে ফেললেন।

তিনি বলেন, ঘটনার সময় আমি ঘর থেকে বেরিয়ে আমার বাবাকে মারতে দেখি। আমাকে হামলাকারী দুইজন ধরে রেখেছিল। আমি তাদের হাত থেকে ছুটে পুকুরের অন্য পাড়ে গিয়ে আশ্রয় নিই। আমার মা মমতাজ বেগম হামলাকারীদের পায়ে ধরে ছিলেন। যাতে আমার বাবাকে না মারার জন্য। কিন্তু কেউ কোনো কথা শোনেননি। বাবাকে হত্যা করেছে। আমার মাকেও মারধর করা হয়েছে।

আরিফ জানান, হামলার পর প্রথমে তার বাবাকে চন্দ্রগঞ্জের একটি হাসপাতালে, পরে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি দাবি করেন, আমাদের ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা খোকন নামের একজনকে আমি চিনেছি, যিনি হামলার নেতৃত্বে ছিলেন। তার সাথে আরও ১০/১২ জন ছিল। খোকন বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। কিন্তু বাবা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করলেও কারো ক্ষতি করেননি।

সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জয়নাল আবেদিন বলেন, আমরা ভিকটিমকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। চিকিৎসা দেওয়ার সুযোগ পাইনি। মরদেহের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বাংলানিউজকে বলেন, একজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ সদর হাসপাতালে আছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।