পিরোজপুর: পিরোজপুরের নাজিরপুরের দীর্ঘা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও চেয়ার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশুতোষ বেপারীকে লাঞ্ছিত করেছেন প্রতিপক্ষের কর্মীরা।
সোমবার (০৪ জুলাই) দুপুরে ওই ইউনিয়নের শহীদ জননী মহিলা কলেজে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই ইউনিয়নের সম্মেলন স্থগিত করা হয়।
ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুনিল হালদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কানাই লাল বিশ্বাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নির্ঝর কান্তি বিশ্বাস, ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাস্টার শাহ আলম আকন প্রমুখ।
ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহ আলম আকন অভিযোগ করে জানান, ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত সভাপতি কালাচাঁদ হালদারকে বাদ দিয়ে গোপনে সুনিল মণ্ডলকে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক এবং অপূর্ব হালদারকে বাদ দিয়ে দীপু চক্রবর্তীকে পদ দেওয়া হয়েছে। এমনভাবে ওই ইউনিয়নের ৭ নম্বর, ৯ নম্বরসহ কয়েকটি ওয়ার্ডে নির্ধারিত তারিখে সম্মেলন না করে গোপনে পকেট কমিটি করা হয়। এসব বিষয় সম্মেলনে অভিযোগ দিলে সম্মেলনের দায়িত্বে থাকা নেতারা সম্মেলন স্থগিত করেন।
তিনি আরও জানান, তাকে সংগঠনের নিয়ম বর্হিভূতভাবে বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কারের অনেক আগে ওই ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে সম্মেলনের মাধ্যমে ওয়ার্ড কমিটি গঠন করা হয়। ওই সব কমিটিতে ইউনিয়ন কমিটির সভাপতির কোনো স্বাক্ষর নেই। ইউনিয়ন সম্মেলনে একটি গ্রুপ তাদের নিজের সুবিধা মতো কমিটি করতে ওই ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে কাউন্সিলর (ভোটার) হিসেবে নতুন নতুন লোকের নাম তালিকাভুক্তি করা হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোশারেফ হোসেন খান জানান, সম্মেলনের প্রথম পর্বেই একটি গ্রুপ হৈ-চৈ শুরু করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। পরে নেতারা সম্মেলন স্থগিত করে দেন।
তবে ওই সম্মেলনের দায়িত্বে থাকা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কানাই লাল বিশ্বাস জানান, সম্মেলনে একটি গ্রুপ উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিশৃঙ্খলা করলে সম্মেলন স্থগিত করে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০২২
আরএ