ঢাকা: রাজশাহী জেলাধীন বাগমারা উপজেলায় খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের দোয়া মাহফিলে ও বুধবার ময়মনসিংহের পাগলা থানায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, পুলিশের অনুমতি নিয়ে বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জে স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তির জন্য দোয়ার অনুষ্ঠানের ওপর পুলিশ যে সন্ত্রাসী তান্ডব চালিছে তা নজিরবিহীন।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় সরকারের নৃশংস ফ্যাসিবাদের উগ্ররুপ প্রকাশ পেয়েছে। পাশাপাশি ময়মনসিংহ জেলাধীন পাগলা উপজেলায় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা এবং ৪০টি মটর সাইকেল ভস্মীভূত করা এবং আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, তার বৃদ্ধ মাতাসহ বিএনপি নেতার ওপর যে পৈশাচিক হামলা করা হয়েছে তা বর্তমান অবৈধ সরকারের সন্ত্রাস নির্ভর অপ-রাজনীতির আরেকটি বর্ধিত প্রকাশ।
ফখরুল বলেন, রাজশাহীর বাগমারা ও ময়মনসিংহের পাগলার ঘটনা সরকারের পরিকল্পিত ও অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বর্তমানে সরকার নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অগ্নিমূল্য, অর্থ পাচার আর মহাদুর্নীতিতে এমনভাবে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে যে সেটিকে আড়াল করার জন্যই দেশব্যাপী সন্ত্রাসের পরিকাঠামো তৈরি করেছে। আর এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে প্রতিদিনই বিএনপি নেতাকর্মীদের রক্ত ঝরছে। নিহত ও আহত হচ্ছেন অসংখ্য বিএনপি নেতাকর্মী। বিএনপির কর্মসূচির কথা শুনলেই আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী প্রশাসন বিচলিত হয়ে পড়ে। মনে হয় তাদের পায়ের নিচের মাটি কাঁপতে শুরু করেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রকে উচ্ছেদ করে অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে এ সরকার নানা ধরনের সর্বনাশা সহিংস পন্থা অবলম্বন করেছে। এমনকি পবিত্র ঈদের আগে পরেও আওয়ামী সন্ত্রাসের বাড়াবাড়ি স্তিমিত হয়নি। প্রচন্ডবেগে গণবিক্ষোভের বিস্ফোরণকে ঠেকানোর জন্যই দলীয় চেতনায় সাজানো প্রশাসন ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদেরকে অবৈধ অস্ত্র দিয়ে মাঠে নামানো হয়েছে। তবে এ সরকারের পতনের সাইরেন বাজতে শুরু করেছে। জনগণের সম্মিলিত শক্তির কাছে এই সরকারের পতন এখন অতি সন্নিকটে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২২
এমএইচ/এনএইচআর