ঝালকাঠি: লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করেছে ঝালকাঠি জেলা বিএনপি। তবে তাদের এ কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের বিরুদ্ধে।
রোববার (৩১ জুলাই) সকাল ১১টায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সড়ক হয়ে পূর্ব চাঁদকাঠিস্থ জেলা বিএনপির কার্যালয়ে যাওয়ার সময় জেলা আইনজীবী সমিতির পূর্বগেটে পৌঁছলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। বাধা উপেক্ষা করে যেতে চাইলে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে তাদের ধাওয়া করেন।
এসময় বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি বাচ্চু হাসান খান, নথুল্লাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক তরিকুল ইসলাম লিমন, যুবদল নেতা কুট্টি তালুকদারসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন বলেন, আমরা এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছি।
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তরুণ কর্মকার জানান, ঝালকাঠি শান্তিপূর্ণ ও রাজনৈতিক সহাবস্থানের একটি জেলা। এ জেলায় নেই কোনো গ্রুপিং বা দলাদলি। কিন্তু কেউ রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারবে না। বিএনপি নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন খবর পেয়ে আমাদের নেতাকর্মীরা মিছিলসহ গেলে তারা দৌড়ে পালিয়ে যান। এতে হোঁচট খেয়ে পড়ে গেছেন কয়েকজন।
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান জানান, বিএনপিকে রাস্তায় নেমে কর্মসূচি পালন না করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলাম। কিন্তু তারা রাস্তায় নামার চেষ্টা করায় আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে আসেন। এরপর বিএনপির নেতাকর্মীরা চলে যান। এখানে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২২
এসআই