ঢাকা: বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান রহমান ইরান বলেছেন, সরকার দেশে পরিকল্পিতভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা করে বিরোধী শক্তিকে ঘায়েল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। নড়াইল, নাসিরনগর, রামু ও গাইবান্ধার সাওতাল পল্লির নৃশংস হামলার ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে আওয়ামী লীগ ও এজেন্সি জড়িত।
রোববার (৩১ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ লেবার পার্টি ঢাকা দক্ষিণ আয়োজিত প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ডা. মোস্তাফিজুর রহমান রহমান ইরান বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মডেল হচ্ছে বাংলাদেশ। এখানে কাউকে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলে সংখ্যালঘুদের ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান আমরা ভাই ভাই। জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হওয়ায় সরকার বিভক্তি বিভাজন ও হানাহানির অপরাজনীতিকে উসকে দিচ্ছে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন নিপীড়ন, জমিজমা দখলসহ ৯৫ শতাংশ ঘটনার সঙ্গে সরাসরি স্থানীয় আওয়ামী লীগ জড়িত। ঘটনাস্থল পরির্দশন শেষে ডা. জাফরুল্লাহ ও নিতাই রায় বলেছেন, নড়াইলে ৭০ শতাংশ হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় নৌকা মার্কার প্রার্থী পরাজিত হওয়ায় বিজয়ী বিদ্রোহী চেয়ারম্যানের মধ্যেকার অন্তর্দ্বন্দের জেরে হিন্দুদের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা করা হয়েছে।
মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন লেবার পার্টির মহাসচিব লায়ন ফারুক রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান রামকৃষ্ণ সাহা, বিএনপি নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম চৌধুরী মিলন, হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের রাম সাহা সুমন, গণঅধিকার পরিষদের সাদ্দাম হোসেন, দেশ বাচাঁও আন্দোলনের রকিবুল ইসলাম রিপন, মুসলিম লীগের মাহবুবুর রহমান, তাঁতী দলের ড. মনিরুজ্জামান মনির, জাস্টিস পার্টির আবুল কাসেম, ইসলামী ঐক্যজোটের বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আমিন, নেজামে ইসলামের ওবায়দুল হক, মুসলিম সমাজের মাসুদ হোসেন, লেবার পার্টির যুগ্ম-মহাসচিব হুমাউন কবির, প্রচার সম্পাদক মনির হোসেন, মহিলা সম্পাদিকা নাছিমা নাজনিন সরকার, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মুফতি তরিকুল ইসলাম সাদী, কেন্দ্রীয় সদস্য খোরশেদ আলম, যুবমিশন সদস্য সচিব সৈকত চৌধুরী, ছাত্রমিশন সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, অর্থসম্পাদক সাইফুল ইসলাম ও প্রচার সম্পাদক হাফিজুর রহমান রিফাত প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৯ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২২
এমএইচ/আরআইএস