ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ভোলায় গুলি: ৭ দলীয় গণতন্ত্র মঞ্চের নিন্দা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২২ ঘণ্টা, আগস্ট ১, ২০২২
ভোলায় গুলি: ৭ দলীয় গণতন্ত্র মঞ্চের নিন্দা

ঢাকা: ভোলায় বিএনপির মিছিলে পুলিশের গুলি এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিম নিহত ও বেশ কয়েকজনের আহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ৭ দলীয় গণতন্ত্র মঞ্চ।

সোমবার (১ আগস্ট) জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও গণসংহতি আন্দোলন -এই সাতটি রাজনৈতিক দলের এক সভা জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রবের উত্তরার বাসভবনে অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় এক যৌথ প্রস্তাবে নেতৃবৃন্দ বলেন, জনগণের সম্মতি ছাড়া ক্ষমতাসীন এই সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাট এবং অব্যবস্থাপনার জন্য দেশের অর্থনীতি আজ চরম সংকটে। দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা হুমকির মুখে। লোডশেডিংয়ে সারা দেশের মানুষ অতিষ্ঠ। জ্বালানি সংকটের কারণে কল-কারখানা এমনকি সার কারখানা পর্যন্ত বন্ধ হয়ে গেছে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির কারণে দেশের নিম্নবিত্ত এমনকি মধ্যবিত্ত শ্রেণীও খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। লুটেরা সরকার আর তার দোসরদের অর্থ এবং ক্ষমতা লিপ্সার কারণে দেশ আজ এক গভীর সংকটের দিকে ধাবিত হচ্ছে।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সরকারের দুর্নীতি, অনিয়ম, অব্যবস্থাপনার সম্মিলিত ফলাফলই হচ্ছে আজকে বিদ্যুৎ সংকট এবং চরম দুরাবস্থা। ফলে যতই সরকার ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের দোহাই দিক না কেন, বিদ্যুৎ সংকটের দায় এবং পরিস্থিতি মোকাবেলার ব্যর্থতা সম্পূর্ণভাবে সরকারের। কাজেই এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জনগণের ন্যূনতম গণতান্ত্রিক অধিকার। সরকার পুলিশ বাহিনীকে দিয়ে এই প্রতিবাদ মিছিলে গুলি চালিয়ে আবারো প্রমাণ করলো বল প্রয়োগ করে জবরদস্তি করে ফ্যাসিবাদী কায়দায় তারা ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে চায়। কিন্তু এইভাবে দমন করে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখা যাবে না। জনগণের অভ্যুত্থানে এই সরকারের পতন ঘটবে।

নেতৃবৃন্দ সকল অত্যাচার দমন, পীড়ন, নির্যাতন এবং এই হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে জনগণের বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলা এবং ফ্যাসিবাদী সরকার ও শাসনব্যবস্থার পতনের লড়াইকে জোরদার করার আহ্বান জানান।

আ স ম আব্দুর রবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, প্রেসিডিয়াম সদস্য বহ্নি শিখা জামালী, আকবর খান, জেএসডির  কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাকিব আনোয়ার, গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া, সদস্য সচিব নুরুল হক নুর, যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, ফারুক হাসান, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, প্রেসিডিয়াম সদস্য আখতার হোসেন এবং গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দিন পাপ্পু প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২১ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০২২
এমএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।