ঢাকা: ভোলা জেলা ছাত্রদল সভাপতি নূরে আলমের প্রথম জানাজা নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) দুপুর ১টায় অনুষ্ঠিত এই জানাজায় বিএনপির কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন।
এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন ও বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল মরদেহ গ্রহণ করেন। এরপর লাশবাহী গাড়িতে করে দুপুরে পৌনে ১টায় নয়াপল্টন কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। জানাজার পরে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
নয়াপল্টনে মরদেহ পৌঁছার আগেই কয়েক হাজার নেতাকর্মীর জানাজার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন। মরদেহ আসার পর দুপুর ১টার সময় জানাজা হয়। পরে মরদেহ নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীরা ভোলার উদ্দেশে রওনা দেন। জানাজা পরিচালনা করে জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা শাহ মোহাম্মদ নেছারুল হক।
জানাজার আগে উপস্থিত দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবন, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল।
জানাজায় অংশ নেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাগপা সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, বিএনপি নেতা মো. শাহজাহান, আবদুস সালাম, আমান উল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আবদুস সালাম আজাদ, মীর সরাফত আলী সপু, কামরুজ্জামান রতন, তাইফুল ইসলাম টিপু, আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনু, আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদির ভূইয়া জুয়েল, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, শ্রমিক দলের মোস্তাফিজুল করিম মজুমদার, মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, ড. মনিরুজ্জামান, মৎস্যজীবী দলের আবদুর রহিম প্রমুখ।
গত ৩১ জুলাই সারা দেশে লোডশেডিং ও বিদ্যুতের অব্যবস্থপনার প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ভোলা জেলা বিএনপি বিক্ষোভ সমাবেশ করে। সেখানে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ গুলি ছুড়লে ওই দিন ঘটনাস্থলে সেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিম মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলমকে ঢাকায় এনে কমফোর্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার (৩ আগস্ট) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে তিনি সেখানে মারা যান।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০২২
এমএইচ/কেএআর