ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অন্যায়-অত্যাচার-নিপীড়নের বিরুদ্ধে কথা বললে তারা (সরকার) বলে যে, চক্রান্ত। চাক্রান্ত তো করেন আপনারা।
শনিবার (৬ আগস্ট) রাজধানীর নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ভোলায় পুলিশের গুলিতে জেলা সভাপতি নুরে আলমের মৃত্যুর প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিবাদী ছাত্র সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টার অধিক সময় পর্যন্ত এই সমাবেশ করা হয়। এ সমাবেশে ছাত্রদের ব্যাপক উপস্থিতির কারণে মঞ্চের পাশের সড়কে সকালের দিকে কিছুক্ষণ যান চলাচল করলেও পরে তা বন্ধ হয়ে যায়।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান খুব পরিষ্কার করে বলে দিয়েছেন, ফয়সালা হবে রাজপথে। আমরা সেই বাংলাদেশ ফিরে পেতে চাই যে বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে স্বপ্ন দেখেছিলাম এটা সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, একটা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা সেই বাংলাদেশে আমরা ফিরে যেতে চাই। সেজন্য আমাদের নেতা বলেছেন, ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে নিজেদের সংগঠিত করে, জনগণকে সংগঠিত করে, সব রাজনৈতিক শক্তিকে সংগঠিত করে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে, এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই ভয়াবহ ফ্যাসিবাদী সরকারকে পরাজিত করতে আমরা সক্ষম হবো। তাহলেই নুরে আলম ও আবদুর রহিমের যে রক্ত সেই রক্তের ঋণ আমরা শোধ করতে পারবো।
সমাবেশে ছাত্রদল মহানগর উত্তর-দক্ষিণ-পূর্ব-পশ্চিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মিছিল নিয়ে এ সমাবেশে সমবেত হন। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে নয়া পল্টনে কার্যালয়ের সামনে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেন। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হাজারো নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে ছাত্র সমাবেশটি সরব হয়ে উঠে।
নেতাকর্মীরা বুকে কালো ব্যাজ ধারণ করে ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে’ এই বক্তব্য লেখা কাফনের কাপড় পরে তাদের প্রতিবাদ জানায়।
সমাবেশে স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, নুরে আলম ও আবদুর রহিম জিবন দিল কেন? জনগণের দাবি আদায় করতে গিয়ে। এই সরকারের আন্দোলনের সফল করতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নামতে হবে। আমার শেষ কথা, হঠাও হাসিনা, বাঁচাও দেশ। জনগণের বাংলাদেশ। ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’।
ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল এবং সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিবের পরিচালনায় ছাত্র সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির শামসুজ্জামান দুদু, আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, রুহুল কবির রিজভী, আসাদুজ্জামান রিপন, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, নাজিম উদ্দিন আলম, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কামরুজ্জামান রতন, এবিএম মোশাররফ হোসেন, আজিজুল বারী হেলাল, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, আমিরুল ইসলাম আলীম, মোনায়েম মুন্না, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, শহিদুল ইসলাম বাবুল, হাবিবুর রশীদ হাবিব, রাজীব আহসান, আকরামুল হাসান, ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল, মহানগর বিএনপির রফিকুল আলম মজনু, আমিনুল হক, ছাত্রদলের রাশেদ ইকবাল খান, আবু আফসার মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আখতার হোসেন প্রমুখ।
সমাবেশ উপলক্ষে ব্যাপক পুলিশ ও সাদা পোশাকের সদস্যদের মোতায়েন দেখা গেছে সমাবেশের দুই প্রান্তে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০২২
এমএইচ/আরআইএস