ঢাকা: লুটপাট ও চুরি করে সরকার এই দেশকে ‘ফোকলা’ করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (৮ আগস্ট) বিকেল তিনটায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে যুবদল আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিমকে হত্যা, জ্বালানি তেল ও সারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমার কাছে একটা কাগজ আছে এই কাগজে লেখা আছে, গত ৭ বছরে এদেশ থেকে রপ্তানি হয়েছে এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরোর যে হিসাব সেই হিসাব অনুযায়ী ২৭০ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকে তার হিসাব আছে ২৩৯ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার। বাকি ৩০ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার কোথায় গেল? আজকে জাতি এটা জানতে চায়। এটা একটা বিরাট শুভঙ্করের ফাঁকি, বিরাট একটা লুটের চিত্র। এই লুট ও চুরি যে শুরু হয়েছে। এই লুট ও চুরি করে তারা এদেশকে ‘ফোকলা’ করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, এই সরকার গত ১৫ বছরে আমাদের ছয় শতাধিক নেতাকর্মীকে গুম করেছে, সহস্রাধিক হত্যা করেছে, ৩৫ লাখের ওপরে নেতাকর্মীর নামে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে অসুস্থ অবস্থায় আটক করে রেখেছে। আমাদের নেতা তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে নির্বাসিত করে রেখেছে। আজকে এই যুব সমাবেশের মধ্য দিয়ে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে যুবসমাজ জেগে উঠেছে। এই সরকারের আর টিকে থাকা সম্ভব হবে না। আমি বিশ্বাস করি যুবকদের এই জেগে ওঠার মধ্য দিয়ে, তাদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে, দুর্বার গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই দেশে গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠা হবে।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, এই সরকার টিকে আছে মানুষকে প্রতারণা করে। আজকের জ্বালানি সংকট, অর্থনৈতিক সংকট, আজকের বিদ্যুতের লোডশেডিং, বিদ্যুতের সংকট সবকিছুর মূল্যে হচ্ছে এই সরকারের দুর্নীতি, চরম দুর্নীতি। আমরা দেখেছেন যে, কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্টের নামে তারা কীভাবে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করেছে এবং তাদের নিজস্ব লোকজনদের তারা মুনাফা পাইয়ে দিয়েছে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, বিদ্যুতের লোডশেডিং এবং সব পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপি ১১ আগস্ট ঢাকায় নয়াপল্টনের কার্যালয়ের সামনে দুপুর ২টায় প্রতিবাদ সমাবেশ করবে এবং ১২ আগস্ট সারাদেশে মহানগর ও জেলা পর্যায়ে প্রতিবাদে সমাবেশ হবে।
এরপরে আমরা আরো বৃহত্তর কর্মসূচির দিকে এগিয়ে যাবো এবং এই ভয়াবহ দানবীয় সরকারের পতন তরান্বিত করবো।
যুব দলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন টুকুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্নার পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, আবদুস সালাম আজাদ, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কামরুজ্জামান রতন, আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনু, সাইফুল আলম নীরব, মীর নেওয়াজ আলী, আমিরুজ্জামান খান শিমুল, ইশরাক হোসেন, যুবদল নেতা মামুন হাসান, নুরুল ইসলাম নয়ন, ইসহাক সরকার, গোলাম মাওলা শাহীন, শফিকুল ইসলাম মিল্টন, কৃষক দলের শহিদুল ইসলাম বাবুল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আবদুল কাদির ভূইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০২২
এমএইচ/এএটি