ঢাকা, সোমবার, ১৯ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

পুলিশকে বন্ধু বলে বিপাকে বিএনপি নেতা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০০ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০২২
পুলিশকে বন্ধু বলে বিপাকে বিএনপি নেতা বিক্ষোভ সমাবেশ

বাগেরহাট: বাগেরহাটে দলীয় কর্মসূচিতে পুলিশের প্রশংসা করে বিপাকে পড়েছেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব প্রবীণ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর রহমান আলম।  

গত মঙ্গলবার (২ আগস্ট) বিকেলে বাগেরহাট শহরের সুরুইস্থ বিএনপির কার্যালয়ে ভোলায় বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের গুলিতে নিহত ও বিএনপির নেতাকর্মীরা আহত হওয়ার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় পুলিশের প্রশংসা করেন তিনি।

 

তার বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়লে নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। অনেকেই মোজাফফর রহমান আলমের অপসারণ দাবি করেন।

এর অংশ হিসেবে বাগেরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ কামরুল ইসলাম গোড়া বলেন, এক লিখিত বিবৃতিতে মোজাফফর রহমান আলমের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ কামরুল ইসলাম গোড়া বলেন, মোজাফফর রহমান আলম যে কথা বলেছেন তা সম্পূর্ণ আমাদের দলবিরোধী। তার বক্তব্যে শুধু বাগেরহাট নয়, সারাদেশের বিএনপির নেতাকর্মীরা আহত ও ক্ষুব্ধ হয়েছে। ইতোমধ্যে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তার এই বক্তব্যে আমরা বিস্মিত ও হতবাক হয়েছি। তার এই বক্তব্যকে সংগঠনবিরোধী জানিয়ে বাগেরহাট জেলা বিএনপি ও অংগ সংগঠনের নেতারা এই বিবৃতির মাধ্যমে সদস্য সচিব মোজাফফর রহমান আলমের বক্তব্য প্রত্যাহার করেছেন। তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, শুধু বাগেরহাট জেলা বিএনপি নয়, রামপাল, মোল্লাহাট ও মোংলা উপজেলার নেতাকর্মীরাও মোজাফফর রহমান আলমের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। কোথাও কোথাও তার কুশপুত্তলিকাও দাহ করেছেন নেতাকর্মীরা। বিষয়টি আমরা কেন্দ্রীয় কমিটিকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। তারা নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

বিক্ষোভ সমাবেশে মোজাফ্ফর রহমান আলম ভোলায় নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের গুলি সম্পর্কে যা বলেছিলেন, “ভোলা জেলায় বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে নির্বিচারে পুলিশ গুলি চালিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা আব্দুর রহিমকে হত্যা করার বিষয়টি একটি দুর্ঘটনা। এসময় তিনি আরও বলেন, পুলিশ জনগণের বন্ধু, ইতোপূর্বে কখোনই এ ধরনের ঘটনা ঘটে নাই। আমি মনে করি ভোলার ঘটনা একটি দুর্ঘটনা। আমি আশা করি পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের কখনোই দূরত্ব সৃষ্টি হবে না।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব প্রবীণ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর রহমান আলম বলেন, নিজেদের মধ্যে কোন্দলের কারণে বাগেরহাট জেলা বিএনপি এখন দুই ভাগে বিভক্ত। বক্তব্য দেওয়ার সময় মুখ ফসকে একটা কথা বের হয়ে গেছে। সেটাকে টার্গেট করে বিএনপির অপর অংশের নেতাকর্মীরা অহেতুক মিথ্যাচার করছে। আমাকে আওয়ামী লীগের দালাল বানিয়ে ফেলছে। অথচ ভোলার ঘটনায় তো আমরা বিক্ষোভ সমাবেশ করতে পেরেছি, তারা তো সেটাও করতে পারেনি। দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর ধরে বিএনপি করছি। দলের সুদিনে ছিলাম দুর্দিনেও আছি, আগামীতেও দলের সঙ্গে থাকব।

বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিম বলেন, সদস্য সচিব মোজাফফর রহমান আলম যেটা বলেছেন এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। যার কারণে নেতাকর্মীরা যে যার মত ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। এ বিষয়ে আমি আর কোনো কথা বলতে চাই না।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।