কেরানীগঞ্জ (ঢাকা): ঢাকার কেরানীগঞ্জে মো. জাকির হোসেন নামে এক বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে পুলিশে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হযরতপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন আয়নাল ও তার স্বজনদের বিরুদ্ধে।
জাকিরের স্ত্রী শিউলী হোসেনের অভিযোগ, বুধবার (১০ আগস্ট) সকালে ইউনিয়নের ইটাভাড়া গ্রামে একই বংশের দুই ভাই মো. সেলিম ও রিয়াজুলের মধ্যে ঝগড়ার জেরে জাকির এগিয়ে এলে ইউপি চেয়ারম্যান আয়নাল, তার দুই ভাই, দুই ছেলে, ভাতিজা, ভাগিনাসহ প্রায় ১৫/২০ জন মিলে জাকির হোসেনকে বেধড়ক মারধর করেন এবং কুপিয়ে তার হাতের কিছুটা কেটে দেন।
তবে ইউপি চেয়ারম্যান জানান, রামদা’ নিয়ে তাকে মারতে এলে এলাকাবাসী জাকিরকে পিটুনি দেন। পরে সঙ্গে থাকা ছুরি দিয়ে নিজেই নিজের হাতে আঘাত করেন জাকির।
এদিকে নাসিম নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, টিনে লেগে জাকিরের হাত কেটে গেছে।
জাকির হোসেনের মেয়ে জুবাইদা জানান, তার বাবা ওষুধ আনতে গিয়ে দেখেন, সেলিম ও রিয়াজুলের মধ্যে ঝগড়া হচ্ছে। এসময় সেলিম তার বাবার (জাকির) কাছে বিচার দিলে তিনি বলেন, পরে দেখা যাবে। এ কথা শুনে রিয়াজুল ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যানকে বললে চেয়ারম্যান ও তার পরিবারের ২০/৩০ জন মিলে জাকিরকে মারধর করে রক্তাক্ত করেন।
তিনি আরও বলেন, মার খেয়ে আমার বাবা দৌড়ে বাড়ি চলে এলে আমরা বাবাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছিলাম। এসময় চেয়ারম্যান পুলিশ নিয়ে এসে বাবার কলার ধরে মারতে মারতে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যান। আমার বাবার কোনো দোষ ছিল না। আল্লাহর কাছে বিচার দিচ্ছি। মানুষ কি করে একজন রক্তাক্ত মানুষকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে পুলিশে দেয়?
জাকিরের ছেলে শাফিন জানান, এখন জাকির পুলিশ পাহারায় সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
এ ব্যাপারে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশীদ জানান, আমাদের কাছে অভিযোগ ছিল, জাকির হযরতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন আয়নালকে দা’ নিয়ে মারতে যান। এসময় জাকিরের সঙ্গে থাকা দা’য়েই তার হাত কেটে গেছে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে জাকিরকে আটক করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যানের ভাই মজিবুর রহমান বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২২
এসআই