লক্ষ্মীপুর: কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সমাবেশের প্রস্তুতি নিয়েছিল লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপি। জেলা বিএনপির সচিব সাহাব উদ্দিন সাবুর বাসভবন প্রাঙ্গণে করা হয়েছিল সমাবেশের আয়োজন।
সমাবেশ এলাকায় হামলা চালিয়ে চেয়ার ভাংচুর ও ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। শুক্রবার (১২ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে এ হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির নেতারা। অভিযোগের তীর লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের নব গঠিত কমিটির সহ-সভাপতি সেবাব নেওয়াজের দিকে। তার নেতৃত্বেই হামলার ঘটনাটি ঘটে বলে অভিযোগ।
কিন্তু ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এ অভিযোগ মানছেন না। তাদের দাবি, হামলার ঘটনাটি বিএনপির নিজের। অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণেই ঘটনাটি ঘটেছে।
হামলার ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন যুবক বিএনপি নেতা সাহাবুদ্দিন সাবুর বাস ভবন প্রাঙ্গণে ঢুকে চেয়ার ভাংচুর করছেন।
যার নেতৃত্বে হামলা ঘটে বলে অভিযোগ উঠেছে, সেই ছাত্রলীগ নেতা সেবাব নেওয়াজের বাবা শাহনেওয়াজ আহমেদ শানু বিএনপি নেতা হিসেবে পরিচিত। কিন্তু তার কোনো পদ-পদবী নেই বলে জানা গেছে।
জেলা বিএনপির একটি সূত্র জানায়, লোডশেডিং ও জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সমাবেশে প্রস্তুতি নেওয়া হয়। ঘটনার সময় ছাত্রলীগ নেতা সেবাবের নেতৃত্বে ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী এসে সভাস্থলে হামলা চালায়। এ সময় তারা ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে। সমাবেশ স্থলে রাখা প্রায় ৫০টি প্লাস্টিকের চেয়ার ভাঙচুর করে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) রাতে কোনো কারণ ছাড়াই কলেজ রোড এলাকায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের তারা ধাওয়া করেছে। এছাড়া হাসপাতাল রোড এলাকায় বিএনপির ব্যানার-ফেস্টুনও ভাঙচুরের অভিযোগ রয়েছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।
জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হাছিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, হামলার ঘটনাটি আমরা পুলিশকে জানিয়েছি। ঘটনার সময় সমাবেশ স্থল এলাকায় পুলিশের উপস্থিতি ছিল। বৃহস্পতিবার রাতেও ছাত্রলীগ কোনো কারণ ছাড়াই আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমাদের দলে কোনো কোন্দল নেই। নতুন কমিটি পেয়ে ছাত্রলীগ বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
জেলা যুবদলের সভাপতি রেজাউল করিম বলেন, ছাত্রলীগ নেতা সেবাব নেওয়াজের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়েছে। নতুন কমিটি পেয়ে আলোচনায় আসতে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি।
এ ব্যাপারে কথা হলে ছাত্রলীগ নেতা সেবাব নেওয়াজ বলেন, ভিডিও ফুটেজে আমি নেই। আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়েছে। হামলার ঘটনার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম রকি বলেন, বিএনপির দলীয় কোন্দলের কারণে তারা নিজেরাই ঘটনাটি ঘটিয়েছে। এতে ছাত্রলীগের কেউ জড়িত নয়।
হামলার ঘটনায় ব্যবস্থা কি জানতে অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (প্রশাসন) পলাশ কান্তি নাথের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। একটি ভিডিও দেখেছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময় : ১৭১৬ ঘণ্টা, ১২ আগস্ট, ২০২২
এমজে