ঢাকা: আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেছেন, বিএনপি নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকে মানে না, কমিশনের সংলাপে বসে না। তারা নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করতে চায়।
শুক্রবার (২৬ আগস্ট) রাতে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সাবেক খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী দিনে নির্বাচন কমিশন একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই সেই নির্বাচন হবে। বিএনপি যদি এ নির্বাচনে না আসে তাহলে তাদের অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এর আগে ১৫৪ আসনে নির্বাচন বর্জন করে তারা কিছুই করতে পারেননি। এখনো পারবে না।
কামরুল ইসলাম বলেন, আপনাদের নেতা তারেক রহমান মনোনয়ন বাণিজ্য করেছেন, অন্যথায় আপনারা আরও আসন পেতেন। নির্বাচন না করার কারণে আপনারা জনপ্রিয়তা হারাচ্ছেন। ২০১৪ সালে যেভাবে আগুন সন্ত্রাস করেছেন, জনগণ এখনো সেটি ভুলেনি। এরপরও দেশকে নিয়ে আপনারা ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছেন।
বর্তমান সময়ে সরকারের সফলতার দিকগুলো তুলে ধরে আগামীতে দেশকে উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান সাবেক এ মন্ত্রী।
বঙ্গবন্ধুর জীবন-ইতিহাস আলোচনা করতে গিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে শেষ করে দিতে চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যায় মদদদাতাদের বিচার এখনো হয়নি। এ হত্যার মদদদাতাদের শাস্তি দেওয়ার জন্য একটি কমিশন গঠন করতে হবে। আমরা দুবার গণঅভ্যুত্থান, একবার স্বাধীনতা যুদ্ধ মোকাবিলা করেছি। বিএনপি যতই বিদেশি প্রভুদের দিয়ে ষড়যন্ত্র করুক, আমরা সেটাও মোকাবিলা করবো।
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সাহাব উদ্দিন আহাম্মদ টিপুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন, আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য এম তমিজ উদ্দিন ভূঁইয়া সেলিম, আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য মো. নূরুল ইসলাম মজুমদার সবুজ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার তানিয়া পারভীন।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২২
এমকে/আরবি