ঢাকা: বঙ্গবন্ধুকে বাঙালিরূপী পাকিস্তানিরা হত্যা করেছে। মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যারা মেনে নিতে পারেনি, তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শনিবার (২৭ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, আগস্ট মাস বাঙালি জাতির জন্য কলঙ্কের মাস। ১৫ আগস্টের পর খুনীরা ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে রাজনীতিতে নিঃশেষ করে দিতে চেয়েছিল। সেই সঙ্গে বই-পুস্তক থেকেও তাকে মুছে ফেলা হয়েছিল।
বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, বাঙালিরূপী পাকিস্তানিরা না থাকলে জয় বাংলা স্লোগান বাতিল করতে পারত না। শতকরা ৮০ ভাগ মন্ত্রী পরিষদে থাকতো না।
বিএনপির বর্তমান নেতাদের পারিবারিক অবস্থা তুলে ধরে তিনি বলেন, তাদের অনেকের মধ্যে রয়েছে রাজাকারের রক্ত। তারা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় দেখতে চাইবেন না এটাই স্বাভাবিক।
গবেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধ্যাপক ড. মেজবাহ কামাল বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীরাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। তাকে হত্যার পর যেভাবে দেশ চালানো হয়েছিল এতে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায়।
মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের সভাপতি কর্ণেল শওকত আলীর সহধর্মিনী বীর মুক্তিযোদ্ধা মাজেদা শওকত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির বিভিন্ন স্তরের নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৯ ঘণ্টা, ২৭ আগস্ট, ২০২২
এনবি/এমএমজেড