ঢাকা: জামায়াতের ২০ দলীয় জোট ছাড়া প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, বিএনপি রে ছাইড়া দিয়া একজন গেছে গা। হেগো নাম আমি মুখে আনতে চাই না।
সোমবার (২৯ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে এই সভার আয়োজন করে ১৪ দলের শরিক গণআজাদী লীগ।
বিএনপি নালিশি দল উল্লেখ করে মায়া বলেন, বিএনপি দলটা হলো নালিশি দল। যারা সকাল বিকাল শুধু পায়ে ধরে। আর ষড়যন্ত্র করে। মিথ্যা, ষড়যন্ত্র আর নালিশ হলো তাদের মূল কাজ। জনগণের কাছে তারা যায় না। তারা পল্টন ও নয়াপল্টন দুই জায়গায় বসে একই বক্তব্য দিতে থাকে। বলতে থাকে আওয়ামী লীগ ধ্বংস করতে হবে। এছাড়া আর কোনো কথা তারা বলে না।
২০ দলীয় জোট ছেড়ে জামায়াতের চলে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আজকে কিন্তু বিএনপি রে তালাক দিয়া একজন গেছে গা। হেরা বলে আগেই আমরা তালাক দিয়া দিছি। বুঝলেন তো কারা?
তখন জামায়াতের কথা সভাস্থল থেকে বলা হলে মায়া সবার উদ্দেশ্যে বলেন, হেগো নাম আমি মুখে আনতে চাই না।
মায়া অভিযোগ করেন, আমরা যখন মুক্তিযুদ্ধ করি, তখনই জিয়াউর রহমানরা কিন্তু স্বাধীনতার বিপক্ষে ভিতরে-ভিতরে কাজ করছিলেন। তারা পাকিস্তানের এজেন্ট হিসাবে মুক্তিযুদ্ধে ঘাপটি মারা অবস্থায় ছিলেন।
মায়া বলেন, ষড়যন্ত্রে ব্যর্থ হলে জিয়াউর রহমানরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করে। এরপরে জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়। এ হত্যার মধ্যে দিয়ে জিয়াউর রহমান তার হাত রক্তে রঞ্জিত করেছেন। এরপরও যখন তারা দেখলো তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে না, তখন তারা জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধু হত্যা ও জেল হত্যার সাথে সরাসরি জিয়াউর রহমান জড়িত।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ও তার কুলাঙ্গার পুত্র তারেক রহমান শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। দেশের মানুষের দোয়ায় স্বয়ং আল্লাহ সেদিন শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়েছিলেন। কিন্তু আইভি আপাসহ ২২ জনকে সে দিন তারা হত্যা করেছে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, জিয়া পরিবার হল খুনির পরিবার। সন্ত্রাসীর পরিবার। তাদের হাত বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতা আইভি আপাসহ অনেকের রক্তে রঞ্জিত। এরা যদি রাজনীতিতে থাকে তাহলে দেশকে আবার পিছনে নিয়ে যাবে। জিয়া পরিবারকে রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করতে হবে। তাহলে দেশে গুম, খুন, হত্যা রাজনীতি বন্ধ হবে।
অ্যাডভোকেট এস কে শিকদারের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু। সভায় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০২২
এমকে