ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে স্মৃতিসৌধে গণসংহতির শ্রদ্ধা নিবেদন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০২২
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে স্মৃতিসৌধে গণসংহতির শ্রদ্ধা নিবেদন

ঢাকা: সংগ্রামের দুই দশক এবং রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশের ৭ বছর উপলক্ষে দুই মাসব্যাপী কর্মসূচির সূচনা হিসেবে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিসংগ্রামের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন।

সোমবার (২৯ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় গণসংহতি আন্দোলনের নেতাকর্মীরা জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।

শ্রদ্ধা নিবেদনকালে উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দিন পাপ্পু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জুলহাসনাইন বাবু, দীপক রায়, কার্যনির্বাহী সদস্য মিজানুর রহমান মোল্লাসহ বিভিন্ন থানা কমিটির নেতাকর্মীরা।

এ সময় জোনায়েদ সাকি বলেন, ২০০২ সালে গণসংহতি আন্দোলন যাত্রা শুরু করে গণমানুষের রাজনৈতিক-অর্থনৈতি-সামাজিক-সাংস্কৃতিক দাবিকে এগিয়ে নিতে আমাদের সামর্থের সবটুকু দিয়ে সচেষ্ট থেকেছি। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালে রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে গণমানুষের পক্ষে এদেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছে গণসংহতি আন্দোলন। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে যে বাংলাদেশে গঠিত হয়েছে, আজ ৫২ বছর পরেও দেশ তার উল্টো পথেই হাঁটছে।

তিনি বলেন, আমরা দেখছি মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এমনকি নির্বাচিত সরকারের হাতেও মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে জবরদস্তির মাধ্যমে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার প্রবণতা বর্তমানে দেখা যাচ্ছে। সাংবিধানিকভাবেই নির্বাচিত সরকারের হাতেও এমনভাবে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হয় যে সরকারগুলো জবাবদিহিতাহীন হয়ে পড়ে এবং মানুষের অধিকার কেড়ে নিতে পারে। তারা স্বৈরাচারী হয়ে সর্বব্যাপী ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছে।

জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, সাংবিধানিকভাবে স্বৈরাচারী-ফ্যাসিবাদী কাঠামোই জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এই ফ্যাসিবাদ হটানোর সাথে সাথে এই শাসনব্যবস্থার বদল ঘটানোই জনগণের জন্য এখন গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য। ফলে আমরা যখন ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়ছি তা আসলে এই শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের সংগ্রাম। এবারের লড়াই ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই। এবারের লড়াই এমনভাবে গড়ে উঠবে যা স্বৈরাচারের পতনের সাথে সাথে দেশে একটা সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা গড়ে তুলবে। জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করা যাবে। জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা করা যাবে।

নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল বলেন, বর্তমানে যে কর্তৃত্ববাদী সরকার জনগণের অধিকার হরণ করে শাসন কায়েম করেছে তাদের বিদায় নিতে হবে। সেজন্য জনগণের বৃহত্তর ঐক্য গঠনের প্রক্রিয়ায় আমরা গণতন্ত্র মঞ্চ গঠন করেছি। অন্যান্য বিভিন্ন দলের সাথে যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা জনগণের বৃহত্তর ঐক্য তৈরি করতে চাই। এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে অবশ্যই বিদায় নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। আগামী নির্বাচন হবে সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে একটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নির্মাণের। জনগণের ঐক্যবদ্ধ স্রোত তৈরি করার লক্ষ্যে আমাদের সকল নেতাকর্মীসহ সচেতন জনগণকে সেই কাজকে এগিয়ে নেবার আহ্বান জানাই।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০২২
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।