ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সেনবাগে বিএনপির সাড়ে ৪শ নেতাকর্মীর নামে ২ মামলা, গ্রেফতার ১৭

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০২২
সেনবাগে বিএনপির সাড়ে ৪শ নেতাকর্মীর নামে ২ মামলা, গ্রেফতার ১৭

নোয়াখালী: নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় সাড়ে ৪শ নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর থেকে দুই মামলায় পুলিশ বিএনপির ১৭ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার দেখিয়েছে।

 

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে গ্রেফতার আসামিদের নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।  

এর আগে সোমবার (২৯ আগস্ট) রাতে সেনবাগ থানায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি ও ডুমুরুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য সাখাওয়াত হোসেন বাদী অপর মামলাটি দায়ের করেন।  

গ্রেফতাররা হলেন, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও পৌরসভার কাউন্সিলর মহিন উদ্দিন (৪২), পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব মিয়া মোহাম্মদ ওয়ালিদ বিন হায়দার (২৫), বিএনপির সাবেক জেলা কমিটির সদস্য জাফর খান (৬০), ছাত্রদলের কর্মী হাফিজুর রশিদ (২২), শহিদুল ইসলাম (১৯), মো. আকাশ (১৯), ইমরান হোসেন (১৯), মো. মুরাদ (২৫), মো. হৃদয় (২২), হুমায়ুন কবির (৩০), স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী মো. ইস্রাফিল (৩০), জেলা বিএনপির কর্মী মোহাম্মদ আলী (৫২), ইমাম হোসেন (৪০) ও আজিজুল হক (৫৪)।

জানা যায়, সোমবার বিকেলে উপজেলার  ‍ডুমুরুয়া ইউনিয়নের গাজীরহাট মোড় এলাকায় বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সময় পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে রাতে থানায় একটি মামলা করেছে। মামলায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মফিজুর রহমানসহ ২২৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা হিসেবে আরও ৪০০ থেকে ৪৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

অপরদিকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় ডুমুরুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য সাখাওয়াত হোসেন বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করেছেন। এ মামলায়ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মফিজুর রহমানসহ ২২৩ জনকে এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে। এছাড়া এ মামলায় আরও ৪০০ থেকে ৪৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে দেখানো হয়েছে।

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সোমবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার ডুমুরুয়া ইউনিয়নের গাজিরহাট মোড় এলাকায় আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। দুই মামলায় ৪৫০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ৪০০-৪৫০ জনকে।

মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত দুটি মামলায় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ১৭ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার দেখিয়ে নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।