ঢাকা: বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের পরিপ্রেক্ষিতে যুগপৎ আন্দোলনের রূপরেখা চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২০ দলীয় জোট ভেঙে দেওয়া হয়েছে কিনা ও জামায়াতের সঙ্গে জোট আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা সব দলকে সঙ্গে নিয়ে যুগপৎ আন্দোলন করবো। সব দলের জন্য দরজা খোলা আছে।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, দলের স্থায়ী কমিটির সভায় জ্বালানি সরবরাহের ব্যর্থতায় ডিজেলচালিত কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ থাকলেও কুইক রেন্টালে চারটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বাড়াতে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। স্বাস্থ্যসেবায় ব্যবহৃত ২০টি জেনেরিকের (মূল ওষুধ) ৫০টি ব্যান্ডের ওষুধের দাম প্রায় ৫০ শতাংশ থেকে ১৩৪ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। সভা মনে করে, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য যখন অস্বাভাবিক হারে বেড়ে চলেছে সেই সময় গুটিকতক ব্যবসায়ীকে মুনাফা পাইয়ে দেওয়ার জন্য অনৈতিকভাবে ওষুধের মূল্য বাড়ানো করছে। এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করার দাবি জানানো হয়।
তিনি বলেন, সভায় গত ২২ আগস্ট থেকে লোডশেডিং জ্বালানি তেল, চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য বাড়ার প্রতিবাদে আন্দোলনে ভোলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের আব্দুর রহিম, ছাত্রদলের নূর আলম, নারায়ণগঞ্জের যুবদল নেতা শাওন হত্যার প্রতিবাদে সারা দেশব্যাপী আন্দোলনে অসংখ্য নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ও পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
স্থায়ী কমিটির সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যরিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২
এমএইচ/আরআইএস