ঢাকা: লোডশেডিংয়ের সাম্প্রতিক বিপর্যয় দেশ কাটিয়ে উঠলেও গ্রাম পর্যায়ে পরিস্থিতির পুরো উন্নতি হয়নি।
তবে বৃষ্টি হওয়ায় আবহাওয়া সহনীয় হওয়ায় এবং কয়লা আমদানির পরে পায়রা ও রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে ফেরায় গ্রামেও কমেছে লোডশেডিং।
ঈদে গ্রামে ফেরা মানুষের জানান আগ্রহের কেন্দ্রে রয়েছে কেমন থাকবে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি! তবে কোরবানি দিতে স্বস্তির বার্তাই দিচ্ছেন বিদ্যুৎ বিতরণ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) জানিয়েছে, গতকাল এবং আজ সারা দেশে কোনো লোডশেডিং ছিল না। সামনের দিনগুলোতেও শীতল আবহাওয়া অব্যাহত থাকার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
এ কারণে বিদ্যুৎ চাহিদা মতো সরবরাহ করা যাবে বলে জানিয়েছেন বিপিডিবির সদস্য (উৎপাদন) এসএম ওয়াজেদ আলী সরকার।
তিনি বলেন, ‘ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে তীব্র গরম থেকে বাঁচতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র (এসি) ব্যবহারও বেশি করেন। কোরবানি ঈদের ছুটিতে শহরের বাসিন্দাদের অনেকেই গ্রামে চলে গেছেন। এতে বিদ্যুতের চাহিদা শহরগুলোতে কমছে প্রায় ৩ হাজার মেগাওয়াট। ’
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) তথ্য উপাত্ত ঘেঁটে দেখা যায়, মে মাসের দিকে যখন সারা দেশে প্রচণ্ড দাবদাহ চলছিল তখন বিদ্যুতের চাহিদা ছিল প্রায় ১৬ হাজার মেগাওয়াটে। সেখানে বুধবার বিকেল ৩টায় ছিল ৮ হাজার ৪১০ মেগাওয়াট।
বিদ্যুতের চাহিদা কমার কারণ হিসেবে এসএম ওয়াজেদ আলী সরকার জানান, একদিকে শীতল আবহাওয়া, অন্যদিকে শিল্প কলকারখানা বন্ধ বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে।
পিডিবি জানিয়েছে, ঈদের ছুটিতে বিদ্যুতের সরবরাহ নিয়ে সমস্যা থাকবে না।
পুরো বর্ষা মৌসুমে বিদ্যুতের চাহিদা উৎপাদন সক্ষমতাকে ছাড়িয়ে যাবে না বলেই আশা করছেন বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫০ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২৩
এনবি/এসআইএস