উল্লেখিত তিন উপজেলাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০১৯ সালের শুরু থেকেই সপ্তাহের প্রতি শুক্র এবং শনিবার সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৫টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখা হচ্ছে। অনেক স্থানে সন্ধ্যার পরও দেয়া হচ্ছে না সংযোগ।
বানিয়াচং উপজেলার চিকিৎসা বিজ্ঞানে অধ্যয়নরত মঈনুল হাসান শাকিল বাংলানিউজকে জানান, সপ্তাহে দুইদিন বিদ্যুৎ না থাকায় বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
শুক্রবার (১১ জানুয়ারি) সারাদিন বিদ্যুৎ না থাকায় ফ্রিজে থাকা বিভিন্ন ধরনের খাবার নষ্ট হয়েছে। এছাড়া সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ দেওয়ার কথা থাকলেও ৭টা পর্যন্ত সংযোগ আসেনি। এতে তাদের একজন এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী লেখাপড়া করতে পারছে না।
দক্ষিণ-পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা ফারুক আহমেদ জানান, তিনি প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপকারভোগীদের সেবা দিতে ব্যস্ত থাকেন। বিশেষ করে শুক্রবার অফিস বন্ধ থাকায় শনিবার একটু কাজের চাপ পড়ে। সারাদিন বিদ্যুৎ না থাকলে সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়বে। বিশেষ করে অনেক বিদেশ যাত্রী জন্ম নিবন্ধনের জন্য এসেও ফিরে যাবেন। তাই শনিবার সারাদিনের মধ্যে অন্তত কয়েক ঘণ্টা হলেও বিদ্যুৎ সংযোগের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
আজমিরীগঞ্জের কৃষক ওয়ারিশ মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, তিনি ২৫ মন ধান ভাঙানোর জন্য সারাদিন রাইস মিলে ছিলেন। সারাদিন বিদ্যুৎ না থাকায় কাজ হয়নি। শনিবারও বিদ্যুৎ আসবে না। এতে দুইদিন তাকে রাইস মিলেই থাকতে হবে।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মো. মোতাহের হোসেন বাংলানিউজকে জানান, জেলার নবীগঞ্জ, বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলার ৩৩ কেভি লাইন একটি মাত্র ফিডারের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। যে কারণে গরমের দিনে অত্যাধিক লোডে অনেক জায়গায় সমস্যার সৃষ্টি হয়। তাই ডাবল সার্কিট করার জন্য মেরামত কাজ চলছে। আশা করা হচ্ছে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই কাজ শেষ হবে।
কাজ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত ওই তিন উপজেলায় সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৫টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ থাকবে না বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৯
আরএ