পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৬ সালে ‘পল্লী বিদ্যুতায়ন সম্প্রসারণের মাধ্যমে ১৫ লাখ গ্রাহক সংযোগ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প নিয়ে ১৫ লাখ গ্রাহকের ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়। ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকে শুরু হওয়া ওই প্রকল্পে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসেই ১৫ লাখ গ্রাহকের ঘরে বিদ্যুৎ দেওয়া হয়, খরচ হয় ৬ হাজার ৯১৫ কোটি টাকা।
এখন এই প্রকল্পেরই সময় ও ব্যয় বাড়িয়ে আরও সাড়ে ৪ লাখ গ্রাহকের ঘরে বিদ্যুৎ দেওয়া হবে। প্রকল্পটির সংশোধিত নাম হচ্ছে ‘পল্লী বিদ্যুতায়ন সম্প্রসারণের মাধ্যমে ১৯ লাখ ৫০ হাজার গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ’। এটি ৮ বিভাগের ৬১টি জেলার ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ভৌগোলিক এলাকায় বাস্তবায়ন হবে। সংশোধিত প্রকল্পে বৈদ্যুতিক লাইন ৪৪ হাজার কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৫৯ হাজার কিলোমিটার করা হচ্ছে। এর মেয়াদ বাড়ছে ২০২০ সালের জুন মাস পর্যন্ত, ব্যয় বাড়ছে ১ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা।
মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি উত্থাপন করা হবে জানিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করার মাধ্যমে অর্থনৈতিক কার্যক্রমের প্রসার, ক্ষুদ্র পরিসরে শিল্পায়ন, নতুন কর্মসংস্থান ও গ্রামীণ জনগণের উন্নয়নের লক্ষ্যে চলমান প্রকল্পটিতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সরকারের একটি সূত্র জানায়, মহাপরিকল্পনা মোতাবেক ২০৪১ সালে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রায় কাজ চলছে। সেই অনুসারে ২০২১ সালে ২৪ হাজার মেগাওয়াট, ২০৩০ সালে ৪০ হাজার এবং ২০৪১ সালে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। এরই মধ্যে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ছুঁয়েছে ২০ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার মাইলফলক। ‘রূপকল্প-২০২১’ অনুযায়ী যেভাবে কাজ চলছে, তাতে ক্রমেই লক্ষ্যমাত্রার দিকে এগিয়ে চলছে বিদ্যুৎ খাত।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের যুগ্ম-প্রধান (বিদ্যুৎ উইং) কাজী জাহাঙ্গীর আলম বাংলানিউজকে বলেন, চলতি প্রকল্পের সময়-ব্যয় বাড়িয়ে আরও সাড়ে চার লাখ ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আলাদা প্রকল্প নিলে বেশি খরচ হতো। আশা করা যাচ্ছে এই উদ্যোগে ব্যয় ও সময় সাশ্রয় হবে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিতে ২০১৬ সালে একটা মাস্টারপ্ল্যান করেছিলাম। আমরা ২০২১ সালে সবার ঘরে বিদ্যুৎ দিতে চাই। এটা টার্গেট করেই এগিয়ে যাচ্ছি আমরা। ’
বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৯
এমআইএস/এইচএ/