পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলেও পরীক্ষাধীন এ জ্বালানি নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে সক্ষম। অনেক সময় ধরে এ জ্বালানি তাদের নিজস্ব অখণ্ডতা (ইনটিগ্রিটি) বজায় রাখতে সক্ষম হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ঢাকায় রোসাটোমের গণসংযোগ বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রোসাটমের জ্বালানি কোম্পানি টেভেল, গত ৩১ জানুয়ারি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের পুরো আয়ুষ্কাল ধরে জ্বালানি সরবরাহ সংক্রান্ত বাংলাদেশের সঙ্গে একটি প্রাথমিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
টেভেলের এ দুর্ঘটনা সহিষ্ণু জ্বালানির প্রথম দু’টি অ্যাসেম্বলি রাশিয়ার নভোসিবিরস্ক কেমিক্যাল কনসেন্ট্রেট প্ল্যান্টে প্রস্তুত করা হয়েছে। অ্যাসেম্বলিগুলো দিমিত্রভগ্রাদে ‘মির’ নামক গবেষণা রিয়্যাক্টরে পরীক্ষা করা হচ্ছে।
এ দুর্ঘটনা- সহিষ্ণু জ্বালানি সম্পর্কে টেভেলের ভাইস প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দার উগ্রিউমভ জানিয়েছেন, ‘টেভেলের বৈজ্ঞানিক এবং প্রকৌশলীদের অনেক পরিশ্রমের ফসল প্রথম এ দুর্ঘটনা- সহিষ্ণু জ্বালানি। এ জন্য তাদের মেটেরিয়ালের বিষদ গবেষণার পাশাপাশি নতুন কোটিং (আবরণ) প্রযুক্তির উদ্ভাবন, রেজিস্টেন্স বাট-ওয়েল্ডিং, স্যাম্পলের সফল ল্যাবরেটরি পরীক্ষার কাজ করতে হয়েছে। ’
রিয়্যাক্টরে দুর্ঘটনা- সহিষ্ণু জ্বালানির পরীক্ষার প্রথম ধাপগুলো এবং রিয়্যাক্টর- পরবর্তী পরীক্ষা-নিরীক্ষা ২০১৯ সালের মধ্যে শেষ হবে। পরবর্তীতে জ্বালানি অ্যাসেম্বলিগুলো লোড করা হবে রাশিয়ায় বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনকারী রিয়্যাক্টরে।
পারমাণবিক জ্বালানি উৎপাদন, ইউরেনিয়ামের রূপান্তরকরণ এবং সমৃদ্ধকরণ, গ্যাস সেন্টিফিউজের উৎপাদন, গবেষণা এবং নকশা প্রণয়নের কাজে নিয়োজিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান টেভেলের অন্তর্ভূক্ত। টেভেল ১৪টি দেশের ৭২টি পারমাণবিক রিয়্যাক্টর এবং ৮টি দেশের গবেষণা রিয়্যাক্টরের জন্য জ্বালানি সরবরাহ করছে। বিশ্বের প্রতি ৬টি রিয়্যাক্টরের ১টি টেভেলের উৎপাদিত জ্বালানি ব্যবহার করে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৯
এসকে/এসএইচ