সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
এসময় সাভার তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আবু সাদাৎ মোহাম্মদ সায়েমের নেতৃত্বে অবৈধ গ্যাস সংযোগগুলো বিচ্ছিন্ন করা হয়।
ভুক্তভোগী ও তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ জানায়, আশুলিয়ায় টাকার বিনিময়ে প্রতিটি বাসা-বাড়িতে অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দেয় এলাকার প্রভাবশালীরা। সকাল থেকে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ ওই এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। এছাড়া ১২টি মূল পয়েন্ট থেকে মাটির নিচে থাকা গ্যাস সরবরাহের কয়েক হাজার পাইপ জব্দ করা হয়। পরে ব্যবহৃত রাইজার খুলে নিয়ে লাইনগুলো সিলগালা করে দেওয়া হয়।
বাংলানিউজকে ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আবু সাদাৎ মোহাম্মদ সায়েম বলেন, কতিপয় প্রভাবশালী অসাধু ব্যক্তি এলাকার লোকজন থেকে টাকা নিয়ে অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দিয়ে আসছিলো। সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ওই এলাকার প্রায় পাঁচ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিছিন্ন করা হয়েছে। এ মাস জুড়ে পর্যায়ক্রমে সাভার ও আশুলিয়ায় অভিযান চালিয়ে সব অবৈধ গ্যাস লাইন বিচ্ছিন্ন করা হবে।
অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন- সাভার তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান, ব্যবস্থাপক আব্দুল মান্নানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৯
এসআরএস