‘বড়পুকুরিয়া-বগুড়া-কালিয়াকৈর ৪০০ কেভি লাইন’ প্রকল্পের আওতায় এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ৩ হাজার ৩২২ কোটি টাকা।
প্রকল্পটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) শেরে বাংলানগর এনইসিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপস্থাপন করা হবে।
প্রকল্পের আওতায় বগুড়া-কালিয়াকৈর পর্যন্ত ১৪০ কিলোমিটার ৪০০ কেভি ডাবল সার্কিট সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে ৯ কিলোমিটার যমুনা রিভার ক্রসিং লাইন রয়েছে। কালিয়াকৈরে দু’টি ৪০০ কেভি উপকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। এছাড়াও পার্বতীপুরে দু’টি ২৩০ কেভি উপকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।
প্রকল্প প্রসঙ্গে পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগের সদস্য (সচিব) মিজ শামীমা নার্গিস বাংলানিউজকে বলেন, প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়নের ফলে ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানি সহজ হবে। বাংলাদেশ সরকার সমগ্র দেশে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশ থেকে আন্তঃদেশীয় সহযোগিতার মাধ্যমে বিদ্যুৎ আমদানির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আগামী ২০২২-২৩ সালের মধ্যে ভারতের ঝাড়খণ্ডে আদানি গ্রুপের প্রস্তাবিত ১৬শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আসবে এ প্রকল্পের মাধ্যমে। প্রকল্পের মাধ্যমে ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানির লক্ষ্যে দেশের উত্তরাঞ্চলে উচ্চ ভোল্টেজের সঞ্চালন অবকাঠামো সম্প্রসারণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৯
এমআইএস/আরএ