বুধবার (০৩ এপ্রিল) রূপপুর আবাসিক প্রকল্পের গ্রিনসিটিতে বহুতল ভবনগুলোতে অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ফায়ার সেফটি এবং ফায়ার ডিটেকশন অ্যান্ড প্রটেকশন বিষয় একটি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
রূপপুরের (ঈশ্রদী) আবাসিক প্রকল্পের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইতি রানী পোদ্দারের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় মন্ত্রী আরো বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে নিরাপত্তার উপর সর্বোচ্চ জোর দেওয়া হচ্ছে। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সব সেফটি মানদণ্ড ও গাইডলাইন এবং বাংলাদেশের বিদ্যমান আইন ও বিধিমালা যথাযথভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে। এছাড়াও রাশান ফেডারেশন, আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা, আন্তর্জাতিক, স্থানীয় ও নিজস্ব জনবলের মাধ্যমে সব রেগুলেটরি ডকুমেন্টের কারিগরি মূল্যায়ন ও পর্যালোচনা করে বিশেষজ্ঞদের মতামত ও গ্রহণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের নির্মাণাধীন আবাসিক প্রকল্প গ্রিনসিটিতে বহুতল ভবনগুলোতে অগ্নি দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সর্বোচ্চ ও দৃষ্টান্তমূলক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা পরবর্তীতে অগ্নিদুর্ঘটনার প্রতিরোধে দৃষ্টান্তমূলক ও অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। নির্মাণাধীন বহুতল ২০টি ভবনের প্রতিটিতে দুইজন করে ফায়ারম্যান নিয়োগসহ সার্বক্ষণিক ফায়ার ফাইটিং টিম গঠন এবং প্রয়োজনীয় সব ধরনের ফায়ার ইক্যুপমেন্ট রাখার ব্যবস্থা এবং প্রশিক্ষণের জন্য ফায়ার ডিফেন্স বিভাগের উপর দায়িত্ব প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এর আগে প্রকল্পটির প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রে মন্ত্রী নিজে টিটেনাস ভ্যাকসিন গ্রহণ করে ‘টিকাদান কর্মসূচির’ উদ্বোধন করেন। সেসময় তিন শতাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে টিকা দেওয়া হয়।
সভায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর, নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট কোং লি. এর উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম, ফায়ার ডিফেন্স সার্ভিসের সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম এবং রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি করপোরেশনের (রোসাটম) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ মন্ত্রণালয়ের সংস্থা প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প পরিদর্শন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৯
এসকে/জেডএস