সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর থেকে এ প্লান্টের ১০৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে বলে বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. তানবীর রহমান।
ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেডের আওতায় জেলার মোল্লাহাট উপজেলার মধুমতি নদীর তীরে (মধুমতি ১০০ মেগাওয়াট এইচএফও) বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ শুরু করে।
২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি প্রকল্পটি নির্মাণের জন্য বাগেরহাট জেলা প্রশাসন কর্তৃক মোল্লাহাট উপজেলার মধুমতি নদী সংলগ্ন এলাকায় ১৬ একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়। ভূমি উন্নয়ন শেষে একই বছরের ১০ মে কনস্ট্রাকশন কাজ শুরু হয়। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৮০০ কোটি টাকা। ১০ মাসে এ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ করতে সক্ষম হয় চায়না ঠিকাদার কোম্পানি সিএনসি। এসময়ের মধ্যে জাতীয় গ্রিডে সঞ্চালনের জন্য গোপালগঞ্জ গ্রিডের সাব-স্টেশন পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার ১৩২ কেভি সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. তানবীর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, জমি অধিগ্রহণের পরেই বালুভরাট ও ভূমি উন্নয়ন কাজ শুরু করা হয়। পরে সবার অক্লান্ত পরিশ্রমে সফলভাবে পাওয়ার প্ল্যান্টটি নির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছি। এ বছরের ১০ মার্চ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সঞ্চালন শুরু হয়েছে। সোমবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করা হয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ।
দেশের বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে সহযোগী হিসেবে প্ল্যান্টের ১০৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৯
এসআরএস