নির্ধারিত সময়ের এক মাস আগেই বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) কোর ক্যাচার স্থাপনের কাজ শুরু হয়।
রাশিয়ার সার্বিক তত্ত্বাবধানে দেশটির রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি করপোরেশন (রোসাটম) বাংলাদেশের প্রথম এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
এএসই’র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প পরিচালক সের্গেই লাসতোচকিন জানিয়েছেন, স্বয়ংক্রিয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার অন্যতম মূল অংশ, যা প্রকল্পের দ্বিতীয় ইউনিট ভবনে স্থাপন করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত এটিই হচ্ছে প্রকল্পে স্থাপিত সবচেয়ে বড় ডিভাইস। আমাদের প্রকৌশলীদের সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলেই নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজটি শুরু করা সম্ভব হয়েছে। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, প্রথম ও দ্বিতীয় ইউনিটের নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সিডিউল অনুযায়ীই এগিয়ে চলছে।
রুশ বিশেষজ্ঞদের ডিজাইন করা কোর ক্যাচার একটি অন্যন্য কোনাকৃতির ডিভাইস, যা রিয়েক্টর কোরের নিচে স্থাপন করা হয়ে থাকে। কোর ক্যাচারটিতে থাকে বিশেষ পদার্থ। প্রয়োজনের সময় ডিভাইসটি সব গলিত কোর বস্তু ধারণ করে সম্পূর্ণভাবে আবদ্ধ করে ফেলবে। এর ফলে রেডিয়েশনের বাইরে আসার পথ রুদ্ধ হয়ে যাবে। স্বয়ংক্রিয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হওয়ায় এর কার্যক্রম মানুষের ওপর নির্ভর করবে না। প্রাকৃতিক নিয়ম অনুসরণ করেই এটি কাজ করবে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প সাইটের বৈশিষ্ট বিবেচনা করেই কোর ক্যাচারটি ডিজাইন করা হয়েছে। উন্নত হাইড্রো-ডায়নামিক ও শক প্রতিরোধ গুণাবলিসম্পন্ন হওয়ায় এটি অধিকমাত্রায় ভূমিকম্প সহিষ্ণু। কোর ক্যাচারটিতে বন্যা প্রতিরোধ ব্যবস্থাও যুক্ত করা হয়েছে।
রুশ আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে দু’টি ইউনিট থাকছে। প্রতিটি ইউনিট এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম হবে। রাশিয়ার সর্বাধুনিক ৩+ প্রজন্মের ভিভিইআর-১২০০ রিয়েক্টর স্থাপন করা হচ্ছে প্রকল্পটির ইউনিটগুলোতে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৩২ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৯
এসকে/টিএ