মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) আরএনপিপির প্রকল্প পরিচালক ড. সৌকত আকবর বাংলানিউজকে এ তথ্য দেন।
তিনি বলেন, সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই স্বয়ংক্রিয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা কোর ক্যাচার স্থাপন করা হচ্ছে।
রাশিয়ার আর্থিক সহযোগিতা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে দেশটির রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি করপোরেশনের (রোসাটম) সহযোগী প্রতিষ্ঠান এটমস্ত্রয়এক্সপোর্ট (এএসই) বাংলাদেশের প্রথম এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। এই প্রকল্পের জেনারেল কন্ট্রাক্টর- এএসই।
এ প্রকল্পের প্রথম ইউনিটে কোর ক্যাচার স্থাপনের কাজ শুরু হয় গত বছরের ১৮ আগস্ট।
নির্ধারিত সময়ের এক মাস আগেই দ্বিতীয় ইউনিটে কোর ক্যাচার স্থাপনের কাজ শুরু করেছে। এই কোর ক্যাচার স্থাপনের জন্য রাশিয়া থেকে একটি বিশেষজ্ঞ টিম এসেছে এবং তারা কাজ করছে।
রুশ বিশেষজ্ঞদের ডিজাইন করা কোর ক্যাচারটি কোনাকৃতির ডিভাইস, যা রিয়্যাক্টর কোরের নিচে স্থাপন করা হয়ে থাকে। কোর ক্যাচারটিতে থাকে বিশেষ পদার্থ। প্রয়োজনের সময় ডিভাইসটি সব গলিত কোর বস্তু ধারণ করে সম্পূর্ণভাবে আবদ্ধ করে ফেলবে। এর ফলে রেডিয়েশনের বাইরে আসার পথ রুদ্ধ হয়ে যাবে। স্বয়ংক্রিয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হওয়ায় এর কার্যক্রম মানুষের ওপর নির্ভর করবে না। প্রাকৃতিক নিয়ম অনুসরণ করেই এটি কাজ করবে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প সাইটের বৈশিষ্ট বিবেচনা করেই কোর ক্যাচারটি ডিজাইন করা হয়েছে। উন্নত হাইড্রো-ডায়নামিক ও শক প্রতিরোধ গুণাবলি সম্পন্ন হওয়ায় এটি অধিকমাত্রায় ভূমিকম্প সহিষ্ণু। কোর ক্যাচারটিতে বন্যা প্রতিরোধ ব্যবস্থাও যুক্ত করা হয়েছে।
রুশ আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে দু’টি ইউনিট থাকছে। প্রতিটি ইউনিট এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম হবে। রাশিয়ার সর্বাধুনিক ৩+ প্রজন্মের ভিভিইআর-১২০০ রিয়েক্টর স্থাপন করা হচ্ছে প্রকল্পটির ইউনিটগুলোতে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৪ ঘণ্টা, মে ০১, ২০১৯
এসকে/টিএ