৩+ প্রজন্মের ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টর ভিত্তিক এই ইউনিটটি গ্রিডের সঙ্গে সিনক্রোনাইজেশনের পর ২৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য দিয়েছে।
নভোভারোনেঝ প্রকল্পটি দেশটির জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবার পর পাইলট উৎপাদন শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে উৎপাদন ক্ষমতা ১০০ শতাংশে উন্নীত করা হবে। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে ইউনিটটির আনুষ্ঠানিক অপারেশনালউদ্বোধনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। ইউনিটটি মূলত রাশিয়ার ইউরোপীয় অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে।
এই ইউনিটটির নির্ভরযোগ্যতা ও নিরাপদ অপারেশন্স নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গ্রিডে যুক্ত হবার পূর্বে লো-পাওয়ার টেস্টিং-এর বিভিন্ন পর্যায়ে অনেকগুলো ট্রায়াল দেওয়া ছাড়াও যন্ত্রপাতির পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়।
রসাটমের প্রথম উপ-প্রধান নির্বাহী এবং এএসই গ্রুপ অব কোম্পানিজের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দর লোশকিন বলেন, ‘এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এটি হাজার হাজার এক্সপার্ট এবং শত শত প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘদিনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও দক্ষতার ফসল। অপারেশনাল লঞ্চিং-এর পূর্বে এখনও অনেক কাজ বাকি, কিন্তু প্রকল্পটি যে সফল হয়েছে তা আমরা বলতেই পারি। ’
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশন রসাটমের ফ্ল্যাগশিপ রিয়্যাক্টর হচ্ছে ভিভিইআর-১২০০।
৩+ প্রজন্মের এই রিয়্যাক্টরটি পূর্ববর্তী ভিভিইআর-১০০০ এর বিবর্তনমূলক মডেল। নতুন রিয়্যাক্টরটিতে অনেকগুলো প্যারামিটারের উন্নতি ঘটেছে যেমন, এর উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে ৭ শতাংশ, প্রয়োজনীয় স্টাফের সংখ্যা ৩০-৪০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে এবং লাইফটাইম ৬০ বছর পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ৮০ বছর পর্যন্ত বর্ধিত করা সম্ভব।
বর্তমান বিশ্বে এই রিয়্যাক্টরটি সর্বাধিক নিরাপদ হিসেবে বিবেচিত এবং এটি আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) নির্ধারিত নিরাপত্তা চাহিদাগুলো সম্পূর্ণভাবে মেটাতে সক্ষম।
ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টরভিত্তিক অনেকগুলো পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইউনিট বর্তমানে বাংলাদেশ, বেলারুশ, তুরষ্ক, ফিনল্যান্ড, মিশর, হাঙ্গেরি এবং উজবেকিস্তানে বাস্তবায়নের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টরভিত্তিক দুটি ইউনিটের প্রতিটির উৎপাদন ক্ষমতা ১২০০ মেগাওয়াট। প্রথম ইউনিটটি ২০২৩ এবং দ্বিতীয়টি ২০২৪ সাল নাগাদ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৯
এসকে/এমএ