বিক্ষোভকারীরা জানান, জেলার পাঁচটি উপজেলার মধ্যে পাটগ্রাম ও হাতীবান্ধা উজেলায় বিদ্যুতের দুরাবস্থা চলছে। প্রায় সময় বিদ্যুত বিভ্রাটে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে দুই উপজেলার মানুষ।
বিদ্যুতের এমন অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে নিরবচ্ছন্ন বিদ্যুতের দাবিতে পাটগ্রাম শহরের ব্যবসায়ীরা তাদের দোকান-পাট বন্ধ রেখে চৌরাঙ্গী মোড়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পরে পাটগ্রাম বিদ্যুৎ উপ-কেন্দ্রে ঘেরাও করতে গেলে অবস্থা বেগতিক দেখে গা ঢাকা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন।
আবারও শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে দেড় ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে তারা। এতে চৌরাঙ্গী মোড়ের চার দিকে অর্ধশত ট্রাক আটকা পড়ে।
খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ কয়েক দফা চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে রাত ১২টার দিকে পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বাবুল বিদ্যুতের সমস্যা দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয় বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল করিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, বুড়িমারী স্থলবন্দরসহ পুরো উপজেলায় বিদ্যুতের সমস্যা লেগেই আছে। স্থানীয়রা অতিষ্ট হয়ে রাত সাড়ে দশটার দিকে বিক্ষোভ মিছিল করে। উপজেলা চেয়ারম্যানের আশ্বাসে ভুক্তভোগীরা বিক্ষোভ মিছিল অবরোধ তুলে নেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৩৭ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৯
এসআইএস