রোববার (৩০ জুন) বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। পাশাপশি কমিশন একটি প্রজ্ঞাপনও জারি করে।
বিইআরসি সচিব রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, গৃহস্থালি গ্রাহকদের এক বার্নার চুলার মূল্য নতুন করে নির্ধারিত হয়েছে ৯২৫ টাকা। আর দুই বার্নার চুলার মূল্য নির্ধারিত হয়েছে ৯৭৫ টাকা। এর আগে এক ও দুই বার্নার চুলার মূল্য ছিল যথাক্রমে ৭৫০ ও ৮০০ টাকা।
এছাড়াও গৃহস্থালি পর্যায়ে যারা প্রিপেইড মিটার ব্যবহার করছেন তাদের প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের মূল্য ৯ টাকা ১০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১২ টাকা ৬০ পয়সা করা হয়েছে।
একই সঙ্গে বাড়ানো হয়েছে সিএনজিচালিত যানবাহনের গ্যাসের দামও। ৩৮ টাকা থেকে ৫ টাকা বাড়িয়ে ৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে সিএনজির দাম।
বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাস প্রতি ঘনমিটার ৪ টাকা ৪৫ পয়সা, ক্যাপটিভ পাওয়ারে ১৩ টাকা ৮৫ পয়সা, সার কারখানায় ৪ টাকা ৪৫ পয়সা এবং শিল্প কারখানা ও চা বাগানে ১০ টাকা ৭০ পয়সা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন, ২০০৩ এর ধারা ২২(খ) এবং ৩৪ অনুযায়ী এই মূল্যবৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানানো হয় কমিশনের পক্ষ থেকে। সোমবার (১ জুলাই) থেকেই কার্যকর হবে নতুন এই নির্ধারিত মূল্য।
কমিশন জানায়, প্রাকৃতিক গ্যাসের মূল্যহার পরিবর্তনের প্রস্তাবের বিষয়ে আগ্রহী পক্ষদের শুনানিপূর্বক বিস্তারিতভাবে আলোচনা করে এই মূল্য বাড়ানো হয়েছে। তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড, পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড ও সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের আওতাধীন সব ভোক্তা পর্যায়ে নতুন এ প্রজ্ঞাপন কার্যকর হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, জুন ৩০,২০১৯
এসএইচএস/এএ